bsce-cdblশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: হ্যাকারদের কাছে কোনো কিছুই নিরাপদ নয়। এসব সাইবার অপরাধী সুযোগ পেলেই তথ্যের খোঁজে হানা দিয়ে বসে যে কোনো নেটওয়ার্কে। পরে সুযোগ বুঝে সেগুলো থেকে ফায়দা লোটার চেষ্টা করে।  সাম্প্রতিক সময়ে ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক নেটওয়ার্কে হানা দিয়ে তথ্যকে পুঁজি করে হ্যাকারদের মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনাও ঘটেছে।

আর সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির চাঞ্চল্যকর ঘটনার পর দেশে ও দেশের বাইরে সতর্ক সবাই। এমন পরিস্থিতিতে দেশের শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার চুরির শঙ্কা প্রকাশ করেছে। এ জন্য সেন্ট্রাল ডিপজিটরি কোম্পানি সিডিবিএলকে সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে।

সিডিবিএলে সাইবার ঝুঁকির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের এমডি এম এইচ সামাদ বলেন, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমনসব কোম্পানির শেয়ারের তথ্য সংরক্ষণ করা হয়। প্রত্যেক শেয়ারহোল্ডারের শেয়ারের তথ্য পৃথক বিও হিসাবে থাকে।

তাদের সার্ভার ইন্টারনেটের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যুক্ত থাকায় হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে এক বিও হিসাব থেকে অন্যজনের হিসাবে শেয়ার হস্তান্তর করা সম্ভব। তাৎক্ষণিকভাবে ধরা না গেলে কেউ শেয়ার বিক্রি করেও দিতে পারে। এ ছাড়া তথ্য চুরিও হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সাইবার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা আরও উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলবেন।

ডিএসইর এমডি স্বপন কুমার বালা বলেন, ক্রস-বর্ডার লিস্টেড না হলে এক দেশের শেয়ার অন্য দেশে বিক্রি করা যায় না। এ কারণে বিদেশি সাইবার হ্যাকাররা হয়তো শেয়ার চুরি করবে না। তবে নাশকতা করে শেয়ার সংক্রান্ত তথ্য মুছে দেওয়া হতে পারে।  এ ছাড়া বড় বিনিয়োগকারীদের শেয়ারধারণ সংক্রান্ত তথ্যের মূল্যও অনেক বেশি হওয়ায় তাদের হিসাবও হ্যাক হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।