জীবনে সুখী থাকতে সাহায্য করবে যে ১০ অভ্যাস
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: আমরা অনেকেই মনে করি, সুখী থাকা বা জীবনে খুশি থাকতে পারা খুব কঠিন একটা কাজ। আসলে কিন্তু তা নয়। ছোট ছোট কিছু কাজ আমাদের খুশি করতে পারে বা জীবনে আনন্দ বয়ে আনতে পারে। প্রতিদিনের জীবন থেকে একটু একটু করে খারাপ অভ্যাসগুলো বাদ দিয়ে সেখানে আমরা ধীরে ধীরে ভালো কিছু অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে পারি। আর এই ভালো কিছু অভ্যাস আমাদের ভালো থাকতে সাহায্য করতে পারে। চলুন, জেনে নিই তেমন কিছু ভালো অভ্যাস সম্পর্কে:
প্রাণ খুলে হাসুন: হাসতে পারা কিন্তু খুব সহজ একটি কাজ। কোনো কিছুতে খুশি হলে নিজের হাসি আটকে রাখবেন না। হাসির সঙ্গে কিন্তু আমাদের মস্তিষ্ক থেকে ডোপামিন নামক এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ হয়, যা আমাদের মন ভালো করতে সহায়তা করে।
ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম করলে যে শুধু শরীর সুস্থ থাকে, তাই নয়। ব্যায়াম করলে কমে মানসিক চাপ, অ্যাংজাইটি এবং ডিপ্রেশন। চেষ্টা করুন প্রতিদিন রাতে খাওয়ার পর একটু হাঁটতে। চাইলে ভর্তি হতে পারেন কোনো ইয়োগা ক্লাসেও; এতে শরীর তাজা এবং মন সুস্থ থাকবে।
পর্যাপ্ত ঘুমান: সারা দিন কাজের পর যদি রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হয়, তবে কিন্তু পরের দিনটা একেবারেই মাটি হয়ে যাবে। প্রতিদিন অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। এতে শরীর, মন পরের দিনের কাজের জন্য নিজেকে তৈরি করতে পারবে সঠিকভাবে। চেষ্টা করুন প্রতিদিন জলদি ঘুমিয়ে জলদি ওঠার।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন: কৃতজ্ঞ থাকা বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারা খুব সহজ বিষয় হলেও আমরা সেটা করতে চাই না। প্রতিদিনের কাজের জন্য, ভালো থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। দেখবেন, চারপাশের সুন্দর জিনিসগুলো আরও বেশি সুন্দর হয়ে উঠবে।
প্রশংসা করুন: কেউ ভালো কিছু করলে তার প্রশংসা করুন; সেটা হতে পারে বাসার গৃহকর্মী, অফিসের কলিগ বা কোনো বন্ধুর ক্ষেত্রে। প্রশংসা করে দেখুন, অজান্তেই বুঝতে পারবেন কতটা ভালো লাগছে।
ভুল-ভ্রান্তি মেনে নিন: ভালো দিনটাকে আমরা যেমন সবটুকু দিয়ে গ্রহণ করি, তেমনি আমাদের জীবনে খারাপ দিনও আসতে পারে। যখন আমরা কোনো ভুল করব, তখন সেই ভুলটাকেও মেনে নিতে হবে। তারপর চিন্তা করতে হবে, কেন এই ভুলটা হলো আর এটাকে কীভাবে ঠিক করা যায়। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে চেষ্টা করুন।
তুলনা করবেন না: কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা কাজের ক্ষেত্রে আমরা অনেক সময়ই অন্যের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করি, যা একেবারেই ঠিক নয়। তুলনা করার ফলে যেটা হয় তা হলো নিজের হীনমন্যতা আরও বেড়ে যায়। তাই তুলনা না করে অন্যকে দেখে বরং অনুপ্রেরণা নিন। নিজেকে উন্নত করার স্বাস্থ্যকর চেষ্টা করুন।
বন্ধুদের সময় দিন: বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটালে মন ভালো হয়, এটা আমরা সবাই জানি। নাগরিক ব্যস্ততার মাঝে সবার সঙ্গে আগের মতো দেখা না হলেও তাদের খোঁজ রাখুন। চাইলে প্রতি এক বা দুই সপ্তাহ পরপর দেখা করুন, আড্ডা দিন।
নিজের যত্ন নিন: সকল কাজের মাঝে আমরা কিন্তু নিজের যত্ন নেওয়ার কথাটাই ভুলে যাই। সপ্তাহে না হলেও এক-দুই সপ্তাহ পরপর চুল ও ত্বকের যত্ন নিন। চাইলে বাসাতেই নিজের যত্ন নিতে পারেন। অথবা যেতে পারেন পার্লার বা সেলুনে। প্রতিদিন ঘুমানোর আগেও চাইলে নিতে পারেন একটা রিল্যাক্সিং বাথ, যা আপনার সারা দিনের মানসিক ধকল কমাতে সাহায্য করবে।
ঘুরে আসুন প্রকৃতি থেকে: একটু সময় বের করে চলে যান প্রকৃতির কাছে, ঘুরে আসুন সবুজ অরণ্য বা পাহাড় থেকে। চাইলে যেতে পারেন সমুদ্রের কাছে। সবুজ প্রকৃতি মানসিক অবসাদ কমায়, এমনটাই বলছে গবেষণা। কিছুদিন কাজ থেকে ছুটি নিন, ফোনটাকে একপাশে রেখে প্রকৃতিতে হারিয়ে যান।