শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: প্রেমের প্রস্তাব কীভাবে দেওয়া যায়? প্রথমেই মাথায় আসে লাল গোলাপের কথা। তবে বিশ্বের নানা প্রান্তে বৈচিত্র্যপূর্ণ উপায়ে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া হয়। যেমন ট্রোবিয়্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের মেয়েরা তাদের পছন্দের ছেলেদের হাতে সজোরে কামড় বসায়। যার কামড়ে ক্ষত যত বেশি হয়, তার ভালোবাসা তত গভীর।

অস্ট্রিয়ার কিছু স্থানে মেয়েরা প্রেম নিবেদনে ব্যবহার করে আপেল। নাচার সময় নিজেদের বগলে আপেলের একটি টুকরা রেখে দেয় তারা। পরে পছন্দের ছেলেকে সেটি দেয়। ছেলেটি সেই আপেল খেয়ে প্রেমের প্রস্তাব গ্রহণ করে। নয়তো প্রেম হয় না।

ওয়েলসের প্রেমপ্রত্যাশী ছেলেরা প্রথমে কাঠের একটি চামচে চমৎকার নকশা করে। আগে সে দেশের নাবিকরা সমুদ্রে যাওয়ার সময় কাঠের চামচ নিয়ে যেতেন। অবসরে তাতে নকশা খোদাই করতেন তারা। পরে ডাঙায় এসে পছন্দের মেয়েকে সেটি দিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। সেই চল পালন করে বর্তমান ওয়েলসের ছেলেরা।

তবে কষ্ট কমাতে এখন সে ধরনের চামচ কিনতেই পাওয়া যায় ওয়েলসের কিছু দোকানে। মেয়েরা কোনো ছেলের কাছ থেকে এ ধরনের চামচ পাওয়ার পর তারা তা তাদের অভিভাবককে দেখায়। অভিভাবক যদি চামচের নকশা পছন্দ করে, তবে প্রেমের এই প্রস্তাব বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়।

হল্যান্ডের মেয়েরা প্রেমিকের চলার পথের পাশে থাকা জানালায় গোলাপ রেখে দেয়। ছেলেরা তা দেখে আঁচ করে—কেউ তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে। মেক্সিকোতেও এমন একটি রীতি আছে। তবে তারা ফুল রাখে না। তারা জানালার পাশে গিয়ে গান গায়। গানে আকৃষ্ট হয়ে কাঙ্ক্ষিত মেয়েটি জানালার ধারে আসে। আকৃষ্ট না হলে সারা রাত গান গায় প্রেমপ্রত্যাশী ছেলেটি। গান গেয়ে প্রেম নিবেদন করে থাইল্যান্ডের প্রেমিকরাও।

কঙ্গোর ছেলেরা প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার আগে পাখি শিকার করে। পরে সেটি আগুনে ঝলসে মেয়ের হাতে দিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কেউ কেউ পাখির বদলে ভুট্টা সেদ্ধ করে মেয়ের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে—আমি তোমাকে ভালোবাসি। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় চকলেট দিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া হয়। পেরুর ছেলেরা দেয় অর্কিড।

অবশ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষে আজকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনবক্সেই প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ফেলেন অনেকে। তবুও কেউ কেউ সময়টাকে বিশেষ করে তোলার জন্য ডায়মন্ড, গোল্ড কিংবা সুন্দর কোনো শোপিসের মাধ্যমে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে থাকেন। সূত্র : ডয়চে ভেলে, সময়নিউজ ডট টিভি