শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনে শীর্ষে উঠে এসেছে ফরচুন সুজ লিমিটেড। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে চামড়া খাতের কোম্পানিটির ৫০১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ সময়ে এক্সচেঞ্জটির মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৪১ শতাংশই ছিল কোম্পানিটির দখলে। কয়েক সপ্তাহ ধরে কোম্পানিটি ডিএসইর শীর্ষ লেনদেন তালিকায় রয়েছে।

এর মধ্যে গত সপ্তাহে কোম্পানিটি লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে। এ সময় ফরচুন সুজের ৩ কোটি ৬৯ লাখ ৭০ হাজার ৩২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় এ সময়ে কোম্পানিটির লেনদেন বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ফরচুন সুজের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬৫ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৭৯ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে আয় ছিল ২১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ১৯ পয়সায়।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ফরচুন সুজ। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও বাকি ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫৯ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৮০ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ২৪ পয়সায়।

এর আগে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয় ফরচুন সুজ। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতীত এবং ৫ শতাংশ বোনাস সব শেয়ারহোল্ডারকে দেয়া হয়। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয় ৮০ পয়সা। ৩০ জুন ২০২০ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৩ টাকা ৬৩ পয়সায়।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য পূর্বঘোষিত ৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশের পরিবর্তে উদ্যোক্তা-পরিচালক বাদে অন্য শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ নগদ ও সব ধরনের শেয়ারহোল্ডারকে ১৮ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় ফরচুন সুজ। এর আগের হিসাব বছরে ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল ফরচুন সুজ। ২০১৭ হিসাব বছরে ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা বাকি কোম্পানিগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বিবিধ খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। এ সময়ে এক্সচেঞ্জটির মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৮৩ শতাংশই ছিল কোম্পানিটির দখলে।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষে থাকা বাকি কোম্পানিগুলো হলো যথাক্রমে ওরিয়ন ফার্মা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি), সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড, রহিমা ফুড করপোরেশন লিমিটেড, ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড, সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড।