Bangladesh-Bank-2শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা:  পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের সীমা যথাযথ ভাবে পরিচালন করছে কিনা তা যাচাই করবে বাংলাদেশ। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

২০১০ সালে পুঁজিবাজার ধসে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। সেসময় বাজার ধসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকাকে দায়ী করা হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারে আবারো ইতিবাচক প্রবণতা বিরাজ করছে। ক্রমশ সূচক ও লেনদেনে উত্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে উর্ধ্বমূখী বাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ নিবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-১৭ থেকে জুন-১৭) মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে গভর্ণর ড. ফজলে কবীর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কোনোভাবে যাতে ক্ষতি না হয় সেজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারী অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন। তাছাড়া বাজারের স্বার্থে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সাথে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমন্বয় থাকবে বলেও জানান তিনি।

অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা কালে গভর্ণর সাম্প্রতিক উর্ধ্বমূখী পুঁজিবাজারের প্রসঙ্গে বলেন, পুঁজিবাজারে ২০১০ সালের বিরাজমান মন্দা থেকে বেরিয়ে আসার যে সাম্প্রতিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সেক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সূদৃঢ় নিয়ন্ত্রণে সুস্থ ধারা বজায় থাকা প্রয়োজন। তা না হলে অতীতের মতো এবারও প্রলুব্ধ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের গুরুতর ক্ষতিগ্রস্থ হবার আশঙ্কা থাকবে। ইতিমধ্যেই পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বিনিয়োগকারীদেরকে সতর্কতামূলক উপদেশ প্রদান এবং আর্থিক স্বাক্ষরতার পদক্ষেপ নিয়েছে।

গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের দিক থেকে সতর্ক পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ আইন নির্দেশিত মাত্রায় সীমাবদ্ধ রাখার ব্যাপারে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। কারণ, নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সুদৃঢ় নিয়ন্ত্রণ না থাকলে অতীতের মতো এবারও ‘প্রলুব্ধ ক্ষুদ্র’ বিনিয়োগকারীদের গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ইতোমধ্যেই সতর্কতামূলক উপদেশ জারি এবং বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা উন্নয়নে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। স্পন্সরদের শেয়ার এবং অস্বাভাবিক উচ্চ প্রাইস আর্নিং রেশিওধারী শেয়ারগুলোর বিপরীতে মার্জিন ঋণ যোগানের ওপর বিধিনিষেধ আরোপও এজন্য বাঞ্চনীয় হতে পারে।

নতুন ঘোষিত মূদ্রানীতি অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরে পুঁজিবাজারের আকার বাড়ছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রধান সূচক বেড়েছে ২৩ শতাংশ। ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৩ গুণ। বর্তমানে দেশের জিডিপিতে পুঁজিবাজারের অবদান ১৫ শতাংশ। এটা দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।