BANK LAGOফয়সাল মেহেদী, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজারের ব্যাংকিং খাতের প্রায় ৩৪ শতাংশ ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। মূলত দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।

নানামুখী উদ্যোগ নিয়েও কেন্দ্রীয় ব্যাংক খেলাপি ঋণের লাগাম টানতে পারছে না। যার কারণে বেশ কিছু ব্যাংকের আয় কমে গেছে। যার প্রভাব পুঁজিবাজারে ৩৩.৩৩ শতাংশ ব্যাংকও পড়েছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পুঁজিবাজারের ব্যাংকিং খাতে ৩০টি ব্যাংক তালিকাভুক্ত রয়েছে। এ ব্যাংগুলোর মধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ১০টির শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে।

শতকরা হিসাবে যা ৩৩.৩৩ শতাংশ। এরমধ্যে আবার ১টি ব্যাংক ব্যাপক লোকসান করেছে। যদিও আগের বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটি মুনাফায় ছিল। এছাড়াও ১টি ব্যাংকের লোকসান আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবদুর রাজ্জাক বলেন, বিনিয়োগকারীরা ব্যাংকিং খাতকেই সব সময় নিরাপদ মনে করেন। কিন্তু সম্প্রতি সময়ের এ খাতের খেলাপি ঋণ ইস্যুতে বিনিয়োগকারীরা হতাশ। এছাড়া এক বছরের ব্যবধানে অনেক ব্যাংকের আয়ও কমে গেছে। ফলে এ খাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে বিনিয়োগকারীরা।

রুপালী ব্যাংক লিমিটেড : চলতি অর্থবছরের সর্বশেষ প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টম্বর’ ১৬) অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে রুপালী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৮.৭৬ টাকা। তবে আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ০.৭০ টাকা।

সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৮.০৬ টাকা। এদিকে আলোচ্য সময়ে শেয়ারপ্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩৫.৪৬ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৬.১৬ টাকা।

এছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বর’ ১৬ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৯.৫৭ টাকা, যা ৩১ ডিসেম্বর’ ১৫ পর্যন্ত ছিল ৪৬.৫০ টাকা। এদিকে সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরে (৩১ ডিসেম্বর’ ১৫) রুপালী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছিল ০.৯৯ টাকা। আলোচ্য বছরের জন্য ১৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ।

আইসিবি ইসলামীক ব্যাংক লিমিটেড : চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে (জানুয়ারি-সেপ্টম্বর’ ১৬) আইসিবি ইসলামীক ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.৩০ টাকা; যা আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ০.২৩ টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ০.০৭ টাকা।

এদিকে আলোচ্য সময়ে শেয়ারপ্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.৩৭ টাকা (ঋণাত্বক); যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৫৩ টাকা (ঋণাত্বক)। এছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বর’ ১৬ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫.০১ টাকা (ঋণাত্বক);

যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪.৭২ টাকা (ঋণাত্বক)। এদিকে সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরে (৩১ ডিসেম্বর’ ১৫) এ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ০.২১ টাকা। দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীরা ডিভিডেন্ড বঞ্চিত রয়েছে।

ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড : চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে (জানুয়ারি-সেপ্টম্বর’ ১৬) ঢাকা ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৬৭ টাকা; যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১.৯৫ টাকা। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ০.২৮ শতাংশ কমেছে।

এদিকে আলোচ্য সময়ে শেয়ারপ্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১.৭৫ টাকা; যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৫২ টাকা (ঋণাত্বক)। এছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বর’ ১৬ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০.৯৯ টাকা; যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৯.৯৭ টাকা।

এদিকে সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরে (৩১ ডিসেম্বর’ ১৫) ঢাকা ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছিল ২.৪২ টাকা। বছর শেষে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ মোট ১৬ শতাংশ (৬ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টক) ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল।

ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড : চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে (জানুয়ারি-সেপ্টম্বর’ ১৬) ব্যাংক এশিয়ার শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৭৮ টাকা; যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১.৫৭ টাকা। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ০.৭৯ টাকা।

এদিকে আলোচ্য সময়ে শেয়ারপ্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৬.০৯ টাকা (ঋণাত্বক); যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৮.৩৫ টাকা (ধণাত্বক)। এছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বর’ ১৬ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০.৩৪ টাকা; যা ৩১ ডিসেম্বর’ ১৫ পর্যন্ত ছিল ২১.২২ টাকা।

এদিকে সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরে (৩১ ডিসেম্বর’ ১৫) ব্যাংক এশিয়ার শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছিল ৩.০৪ টাকা। ওই সমাপ্ত অর্থবছরে মোট ২০ শতাংশ (১৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক) ডিভিডেন্ড দিয়েছিল কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড : চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে (জানুয়ারি-সেপ্টম্বর’ ১৬) ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭.৬৪ টাকা; যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৮.৮১ টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাংটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ১.১৭ টাকা।

আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৮৭.৫৬ টাকা; যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১০৮.২১ টাকা। এছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বর’ ১৬ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৭.০৩ টাকা; যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭৭.২৮ টাকা।

এদিকে সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরে (৩১ ডিসেম্বর’ ১৫) ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছিল ১৫.১০ টাকা। বছর শেষে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৪০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল।

প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড : চলতি অর্থবছরের সর্বশেষ প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টম্বর’ ১৬) অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে প্রাইম ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ০.২৩ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২.৩৮ টাকা।

সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ২.১৫ টাকা। আলোচ্য সময়ে শেয়ারপ্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫.৫৬ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২.৩৬ টাকা। এছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বর’ ১৬ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২.৭০ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৫.৫৪ টাকা।

এদিকে সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরে (৩১ ডিসেম্বর’ ১৫) প্রাইম ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছিল ২.১১ টাকা। আলোচ্য বছরের জন্য ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল।

পূবালী ব্যাংক লিমিটেড : চলতি অর্থবছরের সর্বশেষ প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টম্বর’ ১৬) অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে যমুনা ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১.১৯ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২.৩২ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ১.১৩ টাকা।

আলোচ্য সময়ে শেয়ারপ্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪.২৭ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৭৪ টাকা। এছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বর’ ১৬ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৭.৪৬ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৬.৪৫ টাকা।

এদিকে সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরে (৩১ ডিসেম্বর’ ১৫) এ ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছিল ৩.৩৪ টাকা। আলোচ্য বছরের জন্য ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ১২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল।

সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড : চলতি অর্থবছরের সর্বশেষ প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টম্বর’ ১৬) অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে সাউথইস্ট ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২.৪৯ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২.৫৬ টাকা।

অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ০.০৭ টাকা। এদিকে আলোচ্য সময়ে শেয়ারপ্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৪.৭৫ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১.৫৬ টাকা। এছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বর’ ১৬ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৯.৪৭ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৮.৭১ টাকা।

এদিকে সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরে (৩১ ডিসেম্বর’ ১৫) ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছিল ৩.৩৫ টাকা। আলোচ্য বছরের জন্য ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ।

ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক লিমিটেড : চলতি অর্থবছরের সর্বশেষ প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টম্বর’ ১৬) অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১.৯৬ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২.৪২ টাকা। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ০.৪৬ টাকা।

এদিকে আলোচ্য সময়ে শেয়ারপ্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.২০ টাকা (ঋণাত্বক), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১০.৯১ টাকা (ঋণাত্বক)। এছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বর’ ১৬ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪.১২ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৪.২৪ টাকা।

এদিকে সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরে (৩১ ডিসেম্বর’ ১৫) এ ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছিল ৪ টাকা। আলোচ্য বছরের জন্য ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ মোট ২৫ শতাংশ (২০ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক) ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল।

উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড : চলতি অর্থবছরের সর্বশেষ প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টম্বর’ ১৬) অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উত্তরা ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২.৭৫ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২.৯১ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ০.১৬ টাকা। এদিকে

আলোচ্য সময়ে শেয়ারপ্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৬.৮৫ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৩.৮২ টাকা। এছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বর’ ১৬ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩২.৯৭ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩২.৮৯ টাকা।

এদিকে সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরে (৩১ ডিসেম্বর’ ১৫) উত্তরা ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছিল ৩.৭৮ টাকা। আলোচ্য বছরের জন্য মোট ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ।