summit powerএস কে শুভ, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেডের লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করছিল দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ। ফলে আগামী রোববার থেকে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে।

তবে হঠাৎ বিএসইসির জরুরী কমিশন সভায় সামিট পাওয়ারের একীভূককরণ প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সিএসইসি)। এ উদ্দেশ্যে বিএসইসি চার সদস্যের একটি কমিটি কঠিন করা হয়েছে। শুক্রবার  অনুষ্ঠিত বিএসইসির জরুরী কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

বিএসইসির সূত্র মতে, চার সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলমকে। বাকী তিন সদস্য হলেন, পরিচালক মনসুর রহমান, মোহাম্মদ রেজাউল করিম ও উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মজুমদার। এই কমিটিকে আগামী ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র সাইফুর রহমান বলেন, সামিট পাওয়ারের সঙ্গে সামিট গ্রুপের অপর তিন কোম্পানি সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানি, সামিট উত্তরাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানি এবং সামিট নারায়ণগঞ্জ পাওয়ারের একীভূতকরণে আদালতের নির্দেশনা সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়নি। ফলে এতে করে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করছে কমিশন।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। এদিকে গত বুধবার একই ইস্যুতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি, দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সিডিবিএলের মধ্যে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। বৈঠকে শেষে সামিট পাওয়ার লিমিটেডের লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ। ফলে আগামী রোববার থেকে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে।

জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ২২৮ ও ২২৯ ধারা অনুসারে উচ্চ আদালতে তিন কোম্পানিকে সামিট পাওয়ারের সঙ্গে একীভূতকরণের অনুমোদন চাওয়া হলে শর্তসাপেক্ষে গত ১৪ জুলাই সামিট গ্রুপের তিন কোম্পানির একীভূতকরণের চূড়ান্ত অনুমতি দেন হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমদের বেঞ্চ। এর আগে বিধি মোতাবেক বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) শেয়ারহোল্ডার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিরও অনুমোদন নেয় কোম্পানি দুটি।

সামিট পূর্বাঞ্চলের একটি শেয়ারের বিপরীতে সামিট পাওয়ারের ১ দশমিক ৩০৯টি শেয়ার পাবেন শেয়ারহোল্ডাররা। সামিট উত্তরাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানির একটি শেয়ারের বিপরীতে সামিট পাওয়ারের ১ দশমিক ৬৬৮টি এবং সামিট নারায়ণগঞ্জ পাওয়ারের একটি শেয়ারের বিপরীতে সামিট পাওয়ারের ১ দশমিক ৪৭৫টি শেয়ার দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডকে গত মঙ্গলবার বাজার থেকে থেকে তালিকাচ্যুত (ডি-লিস্টেড) করার সিদ্ধান্ত নেয় দুই স্টক এক্সচেঞ্জ।