bangladesh bank cseশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সীমা নিদিষ্ট সীমায় নামিয়ে আনার জন্য কিছু নীতি সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।  অবশেষে তালিকাভুক্ত আটটি ব্যাংকের যাদের পুঁজিবাজারে অতিরিক্ত বিনিয়োগ রয়েছে সেসব ব্যাংকগুলো কিভাবে তাদের অতিরিক্ত বিনিয়োগ নির্দিষ্ট সীমায় নামিয়ে আনবে সে বিষয়ে মুখ খুলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আজ ২ মে বিকেলে বিবির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিবির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা ব্যাংক এক্সপ্লোজার লিমিটের পরিবর্তনে নীতিগত সহয়তা প্রদানের ব্যাখ্যা দেন।

ব্যাংক এক্সপোজারলিমিটের সময়সীমা পরিবর্তন, পরিবর্ধন না কি সংজ্ঞার পরিবর্তন এমন ইস্যুতে গেল ৪ মাসের অধিকাংশ সময়ই দর পতনে ভুগেছে বাজার। অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রীসহ অনেকেই সময় বাড়ানোর পক্ষ মত দিলেও গেল সপ্তাহের বুধবার নতুন করে সময় না বাড়ানোর ঘোষনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু নীতিগত সহায়তার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

পুঁজিবাজারে ব্যাংকসমূহের সোলো ও কনসোলিডেটেড উভয় ভিত্তিতে অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত নীতি সহায়তার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নীতি সহায়তা দেওয়ার ফলে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব সাবসিডিয়ারির মূলধন বৃদ্ধি পাবে অপরদিকে তাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সীমা নেমে আইনী সীমার মধ্যে নেমে আসবে বলে মনে করেনশুভঙ্কর সাহা। বাংলাদেশ ব্যাংক সকলকে পুনরায় আশ্বস্ত করছে যে এই প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাংককেই তার অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের জন্য কোনো শেয়ার বিক্রি করতে হবে না।

ইতিমধ্যে তালিকাভুক্ত দুটি ব্যাংক তাদের ধারণকৃত শেয়ার এবং সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে প্রদত্ত ঋণ সাবসিডিয়ারি ক্যাপিটালে রূপান্তরের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন জানিয়েছে। অন্য যে আটটি ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ রয়েছে সেসব ব্যাংককে ইতিমধ্যেই নির্দেশনা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট আবেদন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

তবে ব্যাংক থেকে সাবসিডিয়ারি কোম্পানির মূলধন বৃদ্ধি সংক্রান্ত আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণের পূর্বে তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও সাবসিডিয়ারি কোম্পানির পরিচালন পর্ষদের অনুমোদনের প্রয়োজন থাকায় এই আবেদন ব্যাংক থেকে আসতে কিছু বিলম্ব হচ্ছে। ফলে অনুমোদন প্রদানেও কিছুটা সময় লাগছে বলে জানান শুভঙ্কর সাহা।

শুভঙ্কর সাহা আরো বলেন, ব্যাংকগুলোর সমস্যার ধরণ ভিন্ন বিধায় পৃথক পৃথকভাবে তাদের নীতি সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। আর অধিকতর বিবেচনার দ্বার উন্মুক্ত রাখার জন্যই এ বিষয়ে এ মুহূর্তে কোনো সার্কুলার প্রদানের প্রয়োজন নেই।

এক্সপোজারের সময়সীমা বাড়ছে কিনা বা এক্সপোজারের যে সংজ্ঞা রয়েছে সেটি পরিবর্তন করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমরা যে প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি এতে নির্দিষ্ট সময়ের (২১ জুলাই ২০১৬) মধ্যেই ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় হয়ে যাবে। তাই আইন পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে জানান তিনি।