National-Insuranceশেয়ারবার্তা ২৪ ডপটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের নতুন কোম্পানি বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের পর এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরুর মাত্র ছয় কার্যদিবসেই ইস্যু মূল্যের কাছে চলে এসেছে। ফলে সেকেন্ডারি মার্কেটে প্রথম দিনে কেনা কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীদের এখন এক শ’ শতাংশের বেশি লোকসান হয়েছে। শুধুমাত্র গত সপ্তাহেই ৩০ শতাংশ দর হারিয়েছে কোম্পানিটি।

সপ্তাহ শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দরপতনের তালিকায় এক নম্বর পৌঁছছে সাধারণ বীমা খাতের প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে কোম্পানিটির আইপিও আবেদন বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশে স্থগিত করেছিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পরে অবশ্য কোম্পানিটিকে জরিমানা করে ছাড়পত্র দেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। পরে বিএসইসিও চাঁদা উত্তোলনের অনুমোদন দেয়। চাঁদা গ্রহণ শেষে কোম্পানিটির এখন লেনদেন চলছে।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ২১ এপ্রিল প্রথম দিনের লেনদেনে বিএনআইসি শেয়ারের দর অভিহিত বা ইস্যু মূল্যের তুলনায় ৮৫ শতাংশ বাড়ে। এর পর আরও দুই কার্যদিবস দর ১৭-১৮ টাকার ঘরে অবস্থান করলেও গত সপ্তাহে বিক্রয় চাপ অনেক বেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার ডিএসইতে সর্বশেষ ১২ টাকা ৯০ পয়সায় বিএনআইসি শেয়ারের লেনদেন হয়। তালিকাভুক্ত হওয়ার পর শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ছিল ৩৮ টাকা ও সর্বনিম্ন ১২ টাকা ৭০ পয়সা।

সর্বশেষ বার্ষিক ফলাফল অনুসারে, ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৫ হিসাব বছরে কোম্পানিটির করপরবর্তী মুনাফা ছিল ৪ কোটি ৯৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা, আগের বছর যা ছিল ৩ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) পরবর্তী শেয়ার সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে ২০১৫ সালে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়ায় ১ টাকা ১২ পয়সা, শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ১৪ টাকা ৫৬ পয়সা। উল্লেখ্য, ১৭-২৫ ফেব্রুয়ারি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রাথমিক শেয়ার বরাদ্দের আবেদন গ্রহণ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি।

অভিহিত মূল্যে ১ কোটি ৭৭ লাখ শেয়ার ছেড়ে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে মোট ১৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছে ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স। এতে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৪৪ কোটি ২৫ লাখ টাকায় উন্নীত হয়।

প্রসপেক্টাস অনুসারে, আইপিওর অর্থের ৯৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ ট্রেজারি বন্ড ও মেয়াদী আমানত হিসাবে বিনিয়োগ করবে কোম্পানি। বাকি ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ অর্থ খরচ হয় আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহে।