শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম: শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানির (বেক্সিমকো) প্রস্তাবিত সুকুক বন্ডের (ইসলামী শরিয়াহসম্মত) আবেদন গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১৬ আগস্ট থেকে বন্ডটির আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। বন্ডটির এ আবেদন গ্রহণ চলবে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, অ্যাসেট ব্যাকড গ্রিন সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে বেক্সিমকো তিন হাজার কোটি টাকা শেয়ারবাজার থেকে সংগ্রহ করবে। এ বন্ডের মেয়াদ পাঁচ বছর। এটি কনভার্টেবল অথবা রিডিমেবল হতে পারে। অর্থাৎ বন্ডের একটি অংশ সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকতে পারে। আবার মেয়াদ শেষ সম্পূর্ণ অবসায়নের বিকল্পও থাকতে পারে।

অভিপ্রায়পত্র পাওয়ার পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে সুকুকের প্রস্তাবিত ট্রাস্টির নিবন্ধন সনদ এবং কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত ট্রাস্ট ডিডিসহ চূড়ান্ত সাবস্ক্রিপশন এগ্রিমেন্ট জমা দিতে হবে। এগুলো পাওয়ার পর কমিশন সম্মতিপত্র ইস্যু করবে।

বন্ডের তিন হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৭৫০ কোটি টাকা বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে এবং একে হাজার ৫০০ কোটি টাকা শেয়ারহোল্ডার ব্যতীত অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে। বাকি ৭৫০ কোটি টাকার বন্ড প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।

সুকুকের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য হবে ১০০ টাকা। আর এ বন্ডটির ন্যুনতম লট থাকবে ৫০টি ইউনিটের। সে হিসেবে এক লটের দাম পাঁচ হাজার টাকা। বন্ডের মেয়াদী পরিশোধের ন্যুনতম হার হবে ৯ শতাংশ।

সুকুকের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ বেক্সিমকোর দুটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা হবে। কোম্পানি দুটি হচ্ছে তিস্তা সোলার লিমিটেড ও করতোয়া সোলার লিমিটেড। এ দুটি কোম্পানি সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এবং এর মাধ্যমে পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবে।

বেক্সিমকোর এই সুকুকের ইস্যু ম্যানেজার, অ্যারেঞ্জার ও অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড এবং অগ্রণী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। আর ট্রাস্টি হিসেবে আছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।

এর আগে গত ২৩ জুন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৭৯তম সভায় কোম্পানিটির সুকুক বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।