শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাভার রিফ্রেক্টরিজের অস্তিত্ব নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে শঙ্কা দিন দিন বাড়ছে। বছর শেষে প্রতিটি কোম্পানির কাছ থেকে ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ আশা করেন বিনিয়োগকারীরা। অথচ তালিকাভুক্ত পর থেকে এ কোম্পানি নানা ধরনের সমস্যা দেখিয়ে টানা বছরের পর বছর ডিভিডেন্ড থেকে বঞ্চিত করে আসছে বিনিয়োগকারীদের।

টানা লোকসানে ঋণ ও দায়ের পরিমাণ সম্পদের তুলনায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকায় দেউলিয়ার পথে রয়েছে কোম্পানিটি। এতে বিনিয়োগ হারানোর আশঙ্কায় রয়েছে বিনিয়োগকারীরা।

এ কোম্পানিটির বার্ষিক প্রতিবেদনে নিরীক্ষকদের মতামত থেকে জানা যায়, উৎপাদন ক্ষমতা আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় ব্যবসা হারাচ্ছে কোম্পানিটি। অপরদিকে টানা লোকসানে কোম্পানিটির সমন্বিত লোকসান লাগামহীনভাবে বাড়ছে।

এদিকে সাভার রিফ্রেক্টরিজের ব্যবসা পরিচালনা করা বা টিকিয়ে রাখা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক। পাশাপাশি টানা লোকসানের কারনে ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা।কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারপরেও শুধুমাত্র স্বল্পমূলধনী হওয়ায় কোম্পানিটির শেয়ার দর আকাশচুম্বি।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে বলে ধারনা করে আর্থিক হিসাব তৈরী করেছে সাভার রিফ্রেক্টরিজ কর্তৃপক্ষ। তবে কোম্পানিটি ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে লোকসানে থাকায় এরইমধ্যে উৎপাদন ক্ষমতা ৫৪.৪০ শতাংশ কমে এসেছে। এছাড়া কারেন্ট রেশিও ০.৩৮:১ এর মতো দূর্বল অবস্থায় চলে এসেছে। যা কোম্পানিটির ব্যবসা পরিচালনা বা টিকিয়ে রাখার সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ তৈরী করেছে।

সাভার রিফ্রেক্টরিজের ব্যবসা এমন ঝুকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও শনিবার (১২ ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ২১৬ টাকায়। এর পেছনে কারন হিসেবে রয়েছে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন কম হওয়ায় শেয়ার সংখ্যাও কম। যাতে সহজেই শেয়ারের কৃত্রিম সংকট তৈরী করা যায়। এ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন মাত্র ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ি, অর্থবছর শেষ হওয়ার ৯ মাসের মধ্যে ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের (ডব্লিউপিপিএফ) টাকা বিতরন করতে হয়। কিন্তু সাভার রিফ্রেক্টরিজের ৭ লাখ ২৯ হাজার ৫০৩ টাকার ফান্ড থাকলে বিতরন করছে না বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।