sakil rajibeশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক মো: শাকিল রিজভী বলেছেন, পুঁজিবাজার সামনে আরো স্থিতিশীল ও শক্তিশালী হবে, আতঙ্কের কিছু নেই। সরকার বাজার নিয়ে একের পর এক নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। সুতারাং বাজার নিয়ে দু:চিন্তার কোন কারন নেই। তাছাড়া একটি চক্র বাজারে নানা গুজব ছড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত করছে। এসব কথায় বিনিয়োগকারীরা কান দিলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বুঝে শুনে বিনিয়োগ করলে লোকসানের সম্ভাবনা নেই।

তাছাড়া পুঁজিবাজার এখন স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রয়েছে। এখনো অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর এখনও স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। যারা এসব শেয়ার অতিমূল্যায়িত বলছেন, তাদের সঙ্গে আমি একমত নই। বরং এসব শেয়ারের দর কমতে কমতে যে পর্যায়ে গিয়েছিল তা ছিল অস্বাভাবিক। ফলে এসব শেয়ারের দর বাড়া কোনো অস্বাভাবিক কিছু নয়।’

তবে বর্তমান বাজারের স্বার্থে পুঁজিবাজারে আরো নতুন নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করা দরকার। একটি দেশের জন্য শক্তিশালী পুঁজিবাজার দরকার। আর শক্তিশালী পুঁজিবাজারের জন্য দেশি-বিদেশি ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানি তালিকাভুক্ত প্রয়োজন। আশা করি সামনে অনেক সরকারী ও বেসরকারী কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবে।

বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে ঝুঁকি যেমন রয়েছে তেমন মুনাফাও রয়েছে। আইনের মধ্যে থেকে জ্ঞানভিত্তিক বিনিয়োগ করলে পুঁজিবাজার থেকে ঝুঁকি এড়িয়ে ভাল মুনাফা করা যায় বলে তিনি মন্তব্য করেন। ভালো মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানি নিয়ে পোর্টফোলিও গঠন করলে ক্ষতির সম্ভাবনা বা ঝুঁকির মাত্রা কম থাকে।

সাম্প্রতিক পুঁজিবাজার পরিস্থিতি নিয়ে শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকমের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী এসব মন্তব্য করেন।

সাম্প্রতিক শেয়ারবাজারের সকল খাতের অবস্থা ভাল যাচ্ছে আর তার প্রতিফলন রয়েছে পুরো বাজারে। এর কারণ হিসেবে যেসব বিষয় রয়েছে তা হল: দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতি ভাল, সরকার এবং সংশ্লিষ্টরা বাজারের প্রতি আগ্রহী, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে এসেছে, শেয়ারদর অনেকদিন তলানীতে থাকায় এখন বিনিয়োগ ঝুঁকিমুক্ত, রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল এবং বিদেশী বিনিয়োগের হার বাড়ছে। সব মিলিয়ে পুঁজিবাজারে চলছে উৎসব মূখর পরিবেশ।

একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে- বাজারে বেশকিছুদিন সব খাতের অবস্থা ভাল থাকলেও ব্যাংক খাতটি ছিল একটু পিছিয়ে। আর বিনিয়োগকারীরা ভাবছেন অন্যান্য খাতের সাথে তাল মিলাতে নিশ্চয়ই এই খাতও মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।

আর সেই চিন্তা থেকে বিনিয়োগকারীরা অন্যান্য খাতের শেয়ার ছেড়ে ব্যাংকের শেয়ারে আকৃষ্ট হচ্ছেন। এ কারণেই ব্যাংকের ধাক্কায় সূচকের গতি বেড়েছিল। তাই গত দুই কার্যদিবসে আবার ব্যাংকের ধাক্কায় সুচকের কারেকশন হয়েছে। এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। বাজার তার স্বাভাবিক গতিতে চলবে।

‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘জেড’ ক্যাটাগরি কোম্পানির নিয়ে আালাদা মার্কেট হওয়া দরকার। কারণ এসব শেয়ার মূল বাজারের ভার্বমূতি নষ্ট করে দেয়। লেনদেনের সময় যখন এসব শেয়ারের নাম দেখা যায় তখন এসব শেয়ারের দরদাম দেখে বিনিয়োগকারীরা হোঁচট খান।