icb lagoMশহিদুল ইসলাম, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: জানুয়ারী ২০১০ ইং থেকে ২০১৬ ইং এর আপডেট পর্যন্ত মার্জিন ঋণের বিপরীতে আরোপিত ১০০% সুদ নি:শর্তভাবে মওকুফের জন্য আবারও আইসিবির কাছে আবেদন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা। এর আগে আইসিবি বরাবর গত ১৬.০৩.২০১৬ ইং এবং ০৫.০৪.২০১৬ ইং তারিখের আবেদন করা হয়েছিল বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে তারা আইসিবির কাছে আবারও দাবি জানালো। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, এর আগেও গত ১৬ মার্চ এবং ৫ এপ্রিল আইসিবির কাছে এ বিষয়ে তারা স্মারকলিপি দিয়েছিল। তখন সুদ মওকুফের ব্যাপারে আইসিবির পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি। আর তাই ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সালের হালনাগাদ হিসাব পর্যন্ত মার্জিন ঋণের বিপরীতে আরোপিত সুদ নি:শর্তভাবে শতভাগ মওকুফের দাবি জানিয়েছে আইসিবি ইনভেস্টরস ফোরাম।

তবে আজ বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, ২০১০ সালের ধস পরবর্তী সময়ে মার্জিন ঋণের কারণে আইসিবির যেসব বিনিয়োগকারীরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, তাদের সুদ ৮০ শতাংশ পর্যন্ত মওকুফে সম্মত হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির এমডি ইফতেখারুজ্জামান। কিন্তু চলমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় বিনিয়োগকারীরা এমডির এই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে নি:শর্তভাবে শতভাগ সুদ মওকুফের দাবি জানিয়েছেন।

কারণ হিসেবে আইসিবির বিনিয়োগকারীরা বলেন, ২০১০ সালের সংঘটিত ধসের কারণে আমরা প্রায় নি:স্ব। এরইমধ্যে ৩০ জন বিনিয়োগকারী আত্মহত্যা করেছেন। এখন আমরা আইসিবির বিনিয়োগকারীরা করুন জীবন যাপন করছি। আমরা না পারছি আতœহত্যা করতে না পারছি বাজার থেকে বেড়িয়ে যেতে। এমতাবস্থায় মার্জিন ঋণের বিপরীতে শতভাগ সুদ নি:শর্তভাবে মওকুফ না করলে আমরা আর টিকে থাকতে পারবো না।

নিচে ৪ দফা দাবিগুলো তুলে ধরা হলো-

০১.    জানুয়ারি ২০১০ ইং থেকে ২০১৬ ইং এর আপডেট পর্যন্ত মার্জিন ঋণের বিপরীতে আরোপিত ১০০% সুদ সম্পূর্ণ নি:শর্তভাবে মওকুফ ব্যবস্থা নিতে হবে।

০২.    অবশিষ্ট অর্থ সম্পূর্ণ সুদবিহীনভাবে ০৫ বছরের ১০টি কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধের সুযোগ দিতে হবে (ব্লক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের প্রেক্ষিতে)।

০৩.   ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের নিয়মিতভাবে পুঁজিবাজারে ব্যবসা পরিচালনার লক্ষ্যে নতুন ঋণের ক্ষেত্রে স্বল্প সুদে অর্থাৎ ৫% হারে সুদ নির্ধারণের ব্যবস্থা করতে হবে।

০৪.    একটি উন্নত মানের গবেষণা সেল দ্রুত স্থাপন করতে হবে।