islami bank lagoশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারী ব্যাংক খাতের কোম্পানি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার এখন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পকেটে। বেশ কিছুদিন ধরে ইসলামী ব্যাংশের শেয়ারের দর বাড়ছে।  বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালকদের শেয়ারের পরিমান অস্বাভাবিকভাবে কমে ১.৬৫ তে নেমে এসেছে। এই শেয়ার চলে গেছে প্রাতিষ্ঠানিকদের দখলে। পাবলিকের শেয়ারও অনেক কমেছে, বৃদ্ধি পেয়েছে প্রাতিষ্ঠানিকদের শেয়ার।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের(ডিএসই) ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত ৩১ মে ২০১৬ তারিখের সর্বশেষ হিসাব মোতাবেক ব্যাংকটির পরিচালকদের হাতে রয়েছে ১.৬৫ শতাংশ শেয়ার। প্রাতিষ্ঠানিকদের আছে ৭৯.৪১ শতাংশ শেয়ার, বিদেশীদের আছে ১.৫১ শতাংশ শেয়ার আর পাবলিকের হাতে আছে ১৭.৪১ শতাংশ শেয়ার।

ডিএসইর ওই একই তথ্য চিত্রে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫তে স্পন্সর/পরিচালকদের হাতে ছিল ৫৭.৭৬ শতাংশ শেয়ার। প্রাতিষ্ঠানিকদের ছিল ৯.০৭ শতাংশ শেয়ার, বিদেশীদের ছিল ১১.১১ শতাংশ শেয়ার আর পাবলিকের হাতে ছিল ২২.০৩ শতাংশ শেয়ার।

islami bankতবে এ বিষয়টি নিয়ে বিনিয়োগকারীসহ আমাদের কাছেও অবিশ্বাস্য মনে হওয়ায় ব্যাংকটির শেয়ার ডিপার্টমেন্টের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি শেয়ারের এই বিভাজনের বিয়য়টি জানেন না বলে জানান।

তিনি বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে একই ডিপার্টমেন্টের অপর একজন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুসানূর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এটা ডিএসইর তেলেসমাতি। আমরা এই তথ্য তাদের দেইনি। আমাদের সাইটে এখনো মে মাসের ভুল তথ্য প্রদর্শীত হচ্ছে। অথচ আমরা ইতিমধ্যে আমাদের জুন মাসের আপডেটও তাদেরকে দিয়ে দিয়েছি।

মুসানূর রহমান  জুন মাসের যে আপডেট তথ্য দেন তাতে দেখা গেছে ব্যাংকটির স্পন্সর ডাইরেক্টররাই আস্তে আস্তে ব্যাংকটির শেয়ার কিনে নিচ্ছেন। এতে দেখা যায়, ২৯ জুন, ২০১৬ সালের হিসাব মতে স্পন্সর/ডাইরেক্টরদের হাতে শেয়ার রয়েছে ৬৫.৯৩৪৪ শতাংশ।

সরকারের হাতে রয়েছে দশমিক ১৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিকদের হাতে রয়েছে ৫.৮৩ শতাংশ শেয়ার বিদেশীদের আছে ৮.৭৯৪৭ শতাংশ শেয়ার আর পাবলিকের রয়েছে ১৯.৪৩০১ শতাংশ শেয়ার।

দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ব্যাংকের তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে এতবড় একটি ভূল কিভাবে হলো তা জানার জন্য আজ বুধবার সকাল ১১টার পর থেকে ডিএসইর জনসংযোগ এবং আইটি ডিপার্টমেন্টের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা সবাই মিটিংয়ে ব্যস্ত বলে কেউ কথা বলতে পারেননি। সুত্র: পুঁজিবাজার