dse lagoশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাজুড়ে বাজার পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীলতার আভাস দিচ্ছে। গত সপ্তাহে শেষ দুই কার্যদিবস সুচক ও লেনদেন বাড়ছে। গত সপ্তাহের শুরুটা ভালো হয়নি। শুরুর দুই দিনই বাজারে সূচকের পতন হয়েছে এবং আর্থিক লেনদেন হয়েছে ৩০০ কোটি টাকার নিচে।

সপ্তাহের দুইদিনের টানা পতনে দেশের প্রধান শেয়ারবাজা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসই ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইক্স) প্রায় ৪৩০০ পয়েন্টে নেমে আসে। এটি ছিল ১১ মাসের মধ্যে সূচকের সর্বনিম্ন অবস্থান।

অবশ্য টানা দুই দিনের পতন শেষে ঘুরে দাঁড়ায় বাজার। সপ্তাহের পরবর্তী ৩ কার্যদিবসেই সূচক বেড়েছে এবং একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। কিন্তু তারপরও আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে আর্থিক লেনদেন ও সূচক উভয়ই কমেছে।

শুধু তাই নয়, বাজার মূলধন ও মূল্য-আয় (পিই)অনুপাতও কমেছে। গত সপ্তাহে (২৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ) ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৭৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। গড় লেনদেন হয়েছে ৩৩৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে (২০ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ) লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৮৩৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এ হিসাবে আগের সপ্তাহের তুলনায় লেনদেন কম হয়েছে ৮.৭৭ শতাংশ।

অপরদিকে গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৮৮.৪৩ শতাংশ লেনদেন হয়েছে ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানিগুলোর। ১.৮৯ শতাংশ লেনদেন হয়েছে ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৭.৭৬ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ০.৯১ শতাংশ হয়েছে ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে।

বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর কমে যাওয়ায় সপ্তাহ শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১২.৯৬ পয়েন্টে। সূচক কমার এ হার ০.৩ শতাংশ। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৪৩৭০.৫০ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৩৫৭.৫৪ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহে সূচক কমেছিল ৭৫.৭৯ পয়েন্ট।

এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ সামান্য কমেছে। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৪ হাজার ১৭২ কোটি টাকা। সপ্তাহ শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩ হাজার ৬৪১ কোটি টাকায়। সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন কমেছে ০.১৭ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে আমান ফিড। কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬২ কোটি ৫৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩.৭৩ শতাংশই লেনদেন হয়েছে এ কোম্পানিটির। লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিএসআরএম। ৬২ কোটি ১ লাখ ৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এ কোম্পানির। যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩.৭০ শতাংশ।

লেনদেনের তৃতীয় স্থানে থাকা এমারল্ড অয়েলের সপ্তাহজুড়ে ৬০ কোটি ৮৬ লাখ ৪১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ড্রাগন সোয়েটার, কেয়া কসমেটিকস, ওরিয়ন ইনফিউশান্স, কেডিএস এক্সেসরিজ, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, স্কয়ার ফার্মা, এএফসি এগ্রোবায়োটেক।