icb bank lagoশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি আইসিবি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের বিনিয়োগকারীরা বছরের পর বছর ডিভিডেন্ড থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ কোম্পানিটি বছরের পর বছরে বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারনা করে আসছে। বর্তমানে কারসাজির আরেক নাম ‘‘নো ডিভিডেন্ড’’।

তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানি মুনাফা না দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘‘নো ডিভিডেন্ড’’ ঘোষণা করে। ফলে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। আর এ প্রতারণা করেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালকরা। কোম্পানিগুলোর কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় তারা এ সুযোগ পাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নিয়োগকারীদের টাকায় ব্যবসা করলে বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান-উর- রশিদ চৌধুরী বলেন, বিএসইসি তাদের আইপিও ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। আইপওতে আসার জন্য আবেদন করা কোম্পানিটি ভাল কি মন্দ সে বিষয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। একটা দুর্বল কোম্পানি আইপিও’র মাধ্যমে বাজারে আসার পর দেখা যায় তার লাভ কমে যাচ্ছে। শেয়ারের দাম কমে যাচ্ছে। কোনো ডিভিডেন্ট দিতে পারে না। তখন কোম্পানিটি চলে যায় জেড ক্যাটাগরিতে। তখন হাজার হাজার বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ নিয়ে পড়েন বিপাকে। এজন্য বিএসইসিকে দায়ী করেন তিনি।

এসব গেম বন্ধ করতে দ্রুত ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট এবং বাই ব্যাক আইন পাশ করার দাবি জানান। তাহলে কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতা বাড়বে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সুদ দিতে পারে তাহলে বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ট দিতে পারবে। এছাড়াও কোম্পানিগুলো বাজারে আসার আগে মুনাফা বেশি দেখিয়ে আইপিওতে আসে এবং মূলধন তুলে নেয়। বাজারে তালিকাভূক্তির পর দেখা যায় কোম্পানি লোকসানে আছে বা লোকসান হয়েছে। এই ইস্যুতে বিনিয়োগকারিদের জন্য নো ডিভিডেন্ট ঘোষণা করে। আর এটি বিনিয়োগকারিদের ঠকানোর সহজ পথ।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, চলতি বছরের শুরু থেকে পুঁজিবাজারে শেয়ার দরের মন্দাভাব বিরাজ করছে। মন্দা বাজারে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির ডিভিডেন্ডে পেলে কিছুটা হলেও লাভবান হয়। তবে যেসব কোম্পানি ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হয়েছে সেগুলো বিনিয়োগকারীরা ডিভিডেন্ড গেইন হতে বঞ্চিত বলে মনে করছেন তারা।
কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোন প্রকার ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, সমাপ্ত অর্থবছরে এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০.২১ টাকা, শেয়ার প্রতি দায় হয়েছে ১৪.৭০ টাকা এবং শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের পরিমাণ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে (মাইনাস) ১.৬৫ টাকা। আগামী ১৯ মার্চ এ কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্যআগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।