ঈদ সামনে রেখে পুঁজিবাজার থেকে টাকা তোলা শুরু করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এ জন্য পুঁজিবাজারে শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়েছে। শেয়ার বিক্রির ফলে বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে টাকা তুলছেন। ফলে বাজারে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ছে। আর মূল্যসূচকে এর প্রভাব পড়ছে। গত সপ্তাহ ধরে পুঁজিবাজার টালমাতাল পরিস্থিতি বিরাজ ছিল।

অধিকাংশ কার্যদিবসে লেনদেনের শুরুতে বাজার উর্ধ্বমুখী প্রবনতা থাকলে ও দিন বাড়ার সাথে সাথে বাজার নিন্মমুখী প্রবনতা বিরাজ করে। অবশেষে দিন শেষে সুচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়।

উত্তরা ব্যাংক সিকিউরিটিজ হাউজের এক কর্মকর্তা বলেন, পুঁজিবাজারে বেশিরভাগ বিনিয়োগ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের। আর ঈদ সামনে রেখে তারা বাজার থেকে টাকা তুলছেন। ফলে মূল্যসূচক ও বাজার মূলধনে এর প্রভাব পড়ছে। তবে এ পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। সার্বিক পরিস্থিতিতে বাজার স্বাভাবিক রয়েছে।

ইনভেস্টরস ফোরামের এক নেতা বলেন, ‘মূলত ঈদকে সামনে রেখে বিনিয়োগকারীরা টাকা তুলতে শুরু করেছে। যাঁরা পুঁজিবাজার থেকে টাকা তুলে ঈদ করবেন তাঁদের হাতে আর বেশি সময় নেই। কারণ এ টাকা উত্তোলন যোগ্য হতে দুদিন সময় লাগে। তবে অধিকাংশ বিনিয়োগকারীরা লোকসানে থাকার কারণে ক্ষতির পরিমাণ বেশি থাকায় শেয়ার বিক্রি না করে অন্যভাবে ঈদের খরচ মেটানোর চেষ্টা করছেন বলে তিনি জানান।

তিনি আরো বলেন, ‘মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া বেশির ভাগ বিনিয়োগকারীর কোড ব্রোকারেজ হাউসের নিয়ন্ত্রণে। এ ছাড়া অনেকে এ বাজারে শেয়ার বিক্রি করে বাড়তি ক্ষতির সম্মুখীন হতে চান না। তবে একটা কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, পুঁজিবাজার নির্ভর বিনিয়োগকারীদের ঈদ এবার খুবই খারাপ যাবে।

অ্যালায়েন্স সিকিউরিটিজের এক কর্মকর্তা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে টাকা উত্তোলনের প্রবণতার কথা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঈদের খরচ মেটাতে খুব স্বাভাবিকভাবেই সবার মধ্যে টাকা তোলার একটা প্রবণতা থাকে। এবার বিভিন্ন কারণে অনেক আগে থেকেই ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বন্ধ হবে বলে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা আগেই শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলছেন।

হুমায়ন কবির

স্টাফ রির্পোটার