স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের কিছুটা দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। মুলত পুঁজিবাজারে প্রফিট টেকিংয়ের চাপে সূচকের কিছুটা পতন হয়েছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

কারণ টানা দুই কার্যদিবস উত্থানের পর একটু কারেকশন স্থিতিশীল বাজারের লক্ষণ। ফলে বর্তমান পুঁজিবাজার সূচকের উঠানামার মধ্যে চলছে। বাজার একটানা বাড়ছে না, তেমনি একটানা দরপতন হচ্ছে না। এটা বাজারের জন্য ভাল দিক তেমনি স্থিতিশীল পুঁজিবাজারের প্রত্যাশায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

এছাড়া সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) নেতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শেষ হলেও বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত মিলেছে। ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে প্রধান মূল্যসূচক। তবে অন্য দুটি সূচক বেড়েছে।

একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় বেশির ভাগ কোম্পানি রয়েছে। ফলে এ বাজারটিতে মূল্যসূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে সিএসইতে টানা তিন কার্যদিবস মূল্যসূচক বাড়লো। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৫৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৩২ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৮৬ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৯ টির, দর কমেছে ২২৭ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০ টির। ডিএসইতে ৬৩৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৪৩ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৩৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকার ।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৪ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৯৩ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৫ টির দর বেড়েছে, কমেছে ৫৩ টির এবং ১৫ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।