শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের শেয়ারদর গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে প্রায় ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। ফলে সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে কোম্পানিটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সপ্তাহের শুরুতে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ারদর ছিল ৫২৭ টাকা ৫০ পয়সা। সপ্তাহ শেষে যা দাঁড়িয়েছে ৭০৪ টাকা ৩০ পয়সায়। সে হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৭৬ টাকা ৮০ পয়সা বা ৩৩ দশমিক ৫২ শতাংশ।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৩ পয়সা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭২ পয়সা। এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮০ পয়সায়।

সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মোট ২০ শতাংশ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের পর্ষদ। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ রয়েছে। ঘোষিত লভ্যাংশ ও আলোচ্য হিসাব বছরের অন্যান্য এজেন্ডায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে এ বছরের ২৮ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি।

এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ধরা হয়েছে ৪ ডিসেম্বর। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা, যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৩৭ পয়সায়। এ বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ২২ পয়সা। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৩ টাকা ১০ পয়সা।

এর আগের ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৪৬ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ১০ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময় শেষে যা ছিল ১২ টাকা ৬৬ পয়সা।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্যও শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ওরিয়ন ইনফিউশন। এর আগের হিসাব বছরে ১৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। মূলত ২০১৫-১৬ হিসাব বছর থেকে মোট চার হিসাব বছরের জন্য ১৪ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।

১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওরিয়ন ইনফিউশনের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৬ কোটি ২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০। এর মধ্যে ৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ৫ দশমিক ১০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৫৪ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।