শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসএমই মার্কেটের কোম্পানি বেঙ্গল বিস্কুটস লিমিটেডের চারজন উদ্যোক্তা পরিচালকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সম্প্রতি এ বিষয়ে তথ্য চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। বিএসইসির চিঠিতে তদন্তের আদেশের বিষয়ে উল্লেখ করে জানানো হয়, বেঙ্গল বিস্কুটস লিমিটেড উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানি। সম্প্রতি কোম্পানিটির বিরুদ্ধে কিছু বিনিয়োগকারী অভিযোগ জানিয়েছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় কমিশন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ (১৯৬৯ সালের অধ্যাদেশ নং ঢঠওও) এর ধারা ২১ এর অধীনে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৫ নং ধারা) এর অধীনে বেঙ্গল বিস্কুটের পুরো বিষয় তদন্ত করা হবে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে চিঠিতে কোম্পানিটির ব্যাংক হিসাবগুলোর তিন বছরের লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা ব্যাংক হিসাবগুলো মধ্যে বেঙ্গল বিস্কুটস, কোম্পানিটির পরিচালক এম এ মাসুদ, ফাইজুল হাসান ও মোহাম্মদ নূরুল কালাম এবং কোম্পানিটির স্বতন্ত্র পরিচালক শরীফ তইবুর রহমানের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।

এদিকে, গত অক্টোবর মাসে বেঙ্গল বিস্কুটসের ব্যবসায়িক কার্যক্রমসহ সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিএসইসি। কমিটিকে আদেশ জারি হওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করতে বলা হয়।

কোম্পানিটির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখতে ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন—বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মো. মাহমুদুর রহমান ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একজন সদস্য (সিনিয়র ম্যানেজার থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা)।

কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৭৯ লাখ ৩৮ হাজার। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩০.৬০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১০.২৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৯.১৩ শতাংশ শেয়ার আছে।