শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডার, পরিচালক ও চেয়ারম্যান এবং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিএসইসি তিন সদস্যের এই কমিটি করেছে।

কমিটির সদস্যরা হলেন বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওহিদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাহমুদুর রহমান ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিজিএম সাঈদ মাহমুদ জুবায়ের। কমিটিকে আদেশ জারি হওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবসায়িক অংশীদার সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে বিরোধের পর গত আগস্টে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আনিসুর রহমান নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে একটি আবেদন করেন।

আবেদনে আনিসুর জানান, গত ১৭ আগস্ট কোম্পানির অনির্ধারিত বোর্ড সভায় তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হয়। তিনি প্রাণনাশের হুমকিও পেয়েছেন।

এই অভিযোগে আনিসুর রহমান আঙুল তোলেন ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া পি কে হালদারের সহযোগী সিদ্দিকুর রহমান ও তার ছেলে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়াজ রহমান সাকিবের দিকে। এ বিষয়ে ‘পি কে হালদারের সহযোগীর বিরুদ্ধে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ দখলের অভিযোগ’ শিরোনামে কালবেলায় বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

সম্প্রতি এই কোম্পানির সাভার কারখানা চত্বরেও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের পর উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করেছে। ২০১৫ সালে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। সে সময় কোম্পানিটির স্বাধীন পরিচালক ছিলেন পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী উজ্জ্বল কুমার নন্দী।

২০১৮ সালে কোম্পানিটি সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর পর থেকে লভ্যাংশ ও মুনাফায় ধারাবাহিক পতন হয়। সর্বশেষ ২০২১ সালে ৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। ২০২২-এর ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বা ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৬৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৭৬ পয়সা।

কোম্পানিটির মোট শেয়ার ৭ কোটি ৯৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তাদের কাছে রয়েছে ৩০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ শেয়ার।