শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে গঠিত শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলের (সিএমএসএফ) কার্যক্রম নিরীক্ষার জন্য দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিটির সদস্যরা হলেন: বিএসইসির উপপরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মিনহাজ বিন সেলিম।

আজ রোববার সিএমএসএফের কার্যক্রম পরিদর্শন সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। আদেশের কপি সিএমএসফের চেয়ারম্যান এবং চিফ অব অপারেশনের (সিওও) বরাবর পাঠানো হয়েছে।

তদন্ত কমিটি গঠনের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন মনে করে যে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ক্যাপিটাল মার্কেট স্টেবিলাইজেশন ফান্ড) বিধিমালা-২০২১ এর বিধি ১৩ এর অধীনে ক্যাপিটাল মার্কেট স্টেবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) এর কার্যাবলি পরিদর্শন করা প্রয়োজন।

উল্লিখিত পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কমিশনের কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মিনহাজ বিন সেলিমকে দায়িত্ব দেওয়া হলো। পরিদর্শন কর্মকর্তারা এই আদেশ প্রাপ্তির ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পরিদর্শন সম্পন্ন করবেন এবং কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেবেন।

এর আগে শেয়ারবাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়াতে বিভিন্ন কোম্পানির অবণ্টিত লভ্যাংশের অর্থ দিয়ে ২০২১ সালে গঠন করা হয় সিএমএসএফ তহবিল। এটির শুরুতে যে আইন করা হয়, সে সময় বলা হয়, বিএসইসি চাইলে বা প্রয়োজন মনে করলে সিএমএসএফের কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে পারবে।

‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড রুলস-২০২১’ এর ১৩ নম্বর ধারায় বলা আছে, যদি বিএসইসির তৈরি করে দেওয়া কমিটি কোনো তথ্য জানতে চায় তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফান্ডের কর্মকর্তাদের সেসব তথ্য লিখিতভাবে জানাতে হবে।

এর আগে ২০২১ সালের জুলাইয়ে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড রুলস-২০২১’ গেজেট প্রকাশ হয়। সেই বছরের আগস্ট থেকে কাজ শুরু করে তহবিল। এরপর অবণ্টিত লভ্যাংশের টাকা তহবিলে জমা দিতে বলা হয় কোম্পানিগুলোকে।

চলতি বছরের ৩১ জুলাই কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর অবণ্টিত লভ্যাংশ জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হয়েছে। কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও নগদ অর্থ ও শেয়ার জমাদানে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো তহবিলে উল্লেখযোগ্য অর্থ জমা দেয়নি। ফান্ড গঠনের এক বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও মোট ফান্ডের মাত্র ১ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা জমা হয়েছে। যদিও ধারণা করা হচ্ছিল, প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা পাওয়া যাবে।