শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর কমিশনার ড. মিজানুর রহমান ব‌লেন, কর্পোরেট গভর্নেন্স ক্রাইসিস, কর্পোরেট ম্যানেজমেন্ট ও শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব। বিএসইসি সব ইস্যুয়ারের কার্যক্রমও পর্যবেক্ষণ করে। কর্পোরেট ক্রাইসিস হ্রাসকরণে বিএসইসি ১৫ বছর ধরে কাজ করছে। কোম্পানির বোর্ড, বোর্ড কমিটি এবং ইনভেস্টরদের মধ্যকার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন এবং নিরীক্ষক নিয়োগের বিষয়ও তদারক করে বিএসইসি।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিএসইসি ও চট্টগ্রাম স্ট এক্সচেঞ্জের (সিএসই) যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত করপোরেট গভর্ন্যান্স সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ‘করপোরেট গভর্ন্যান্স ফর লিস্টেড সিকিউরিটিজ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ড. এ টি এম তারিকুজ্জামান। আর এতে সভাপতিত্ব করবেন সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম।

তিনি বলেন, বেশিরভাগ তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে দেখা যায়, খুবই স্বল্পসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার (স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার) কোম্পানির আর্থিক বিষয় নিয়ন্ত্রণ করেন। কোম্পানির বেশিরভাগ শেয়ারের ধারকরা এর নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বিএসইসি কোম্পানির মালিকানা ও ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করার লক্ষ্যে কাজ করছে। তাতে কোম্পানিগুলোতে সুশাসন বাড়বে। বাড়বে স্বচ্ছতা।

অনুষ্ঠা‌নে সিএসই চেয়ারম্যান আ‌সিফ ইব্রা‌হিম বলেন, “কর্পোরেট গভর্নেন্স হলো একটি কোম্পানিকে পরিচালনা করতে ব্যবহৃত নিয়ম, অনুশীলন এবং প্রক্রিয়াগুলির কাঠামো। একটি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ হলো কর্পোরেট গভর্নেন্সকে প্রভাবিত করার প্রাথমিক শক্তি। ভালো কর্পোরেট গভর্নেন্স স্বচ্ছ নিয়ম ও নিয়ন্ত্রণ তৈরি করে, নেতৃত্বকে নির্দেশনা প্রদান করে এবং শেয়ারহোল্ডার, পরিচালক, ব্যবস্থাপনা এবং কর্মচারীদের স্বার্থকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে। এটি বিনিয়োগকারীদের আস্থা তৈরি করতে সহায়তা করে।

কর্পোরেট সুশাসন বিনিয়োগকারী এবং স্টেকহোল্ডারদেরকে একটি কোম্পানির দিকনির্দেশনা এবং ব্যবসায়িক সততা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা প্রদান করতে পারে। এটি দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক কার্যকারিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে উপযুক্ত রিটার্ন পেতে সহায়তা করে। ভালো কর্পোরেট গভর্নেন্স শেয়ারের দাম বৃদ্ধিতেও সহায়তা করতে পারে। এটি আর্থিক ক্ষতি, অপচয়, ঝুঁকি এবং দুর্নীতির সম্ভাবনা কমাতে পারে। এটি স্থায়িত্ব এবং দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের জন্য একটি গেম প্ল্যান। ‌