শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩২টি কোম্পানির মধ্যে আগের বছরের তুলনায় ১৭ কোম্পানির আয় বাড়ার কারণে ডিভিডেন্ডের পরিমাণ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ কোম্পানির ইতিবাচক আয়ের কারণে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা বৃদ্ধি পাচ্ছে কোম্পানিগুলোর উপর। এর মধ্যে গত বছরের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকের আয় বেড়েছে ১৮ কোম্পানির।

কোম্পানিগুলো হলো: কোহিনুর কেমিক্যাল লিমিটেড, ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড, ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, এসিআই লিমিটেড, এসিআই ফরমুলেশন, একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড,  অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যাল লিমিটেড, এএফসি এগ্রো বায়োটিক লিমিটেড,

এমবি ফার্মা, জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেড, ফার্মা এইডস লিমিটেড, রেনেটা, সালভো কেমিক্যাল, সিলকো ফার্মাসিটিক্যালস, সিলভা ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা এবং ওয়াটা ক্যামিকেলস লিমিটেড। এসব কোম্পানিতে আয় বাড়ার কারণে ভাল ডিভিডেন্ড প্রত্যাশায় রয়েছে বিনিয়োগকারীরা। আয় বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে:

এসিআই লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৪ পয়সা, গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ১৪ পয়সা।

এসিআই ফরমুলেশন : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৫৩ পয়সা, গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল এক টাকা ৪৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৫ পয়সা।

একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৩৮ পয়সা, গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল এক টাকা ৮৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৫৪ পয়সা।

অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যাল লিমিটেড: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ পয়সা, গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ২ পয়সা।

এএফসি এগ্রো বায়োটিক লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ০৫ পয়সা, গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ০৩ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ০২ পয়সা।

এমবি ফার্মা: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪০ পয়সা, গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ১০ পয়সা।

বেক্সিমকো ফার্মা: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ৫১ পয়সা, গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৩৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ২ টাকা ১৩ পয়সা।

জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৪০ পয়সা, গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৭৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৬৩ পয়সা।

কোহিনুর কেমিক্যাল লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৮৭ পয়সা, গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ৩৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে এক টাকা ৫৩ পয়সা।

ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৫ পয়সা, গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৩৩ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ১২ পয়সা।

ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৫ পয়সা, গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৯৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ১০ পয়সা।

ফার্মা এইডস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২২-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৬৩ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৪ টাকা ১২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৫১ পয়সা।

রেনেটা: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১২ টাকা ৬০ পয়সা, গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১১ টাকা ৬৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৯৫ পয়সা।

সালভো কেমিক্যাল: কোম্পানিটি দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৮০ পয়সা, গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৭০ পয়সা।

সিলকো ফার্মাসিটিক্যালস: কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর’২১-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৩ পয়সা। যা গত বছর একই সময়ে ছিল ১২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ১ পয়সা।

সিলভা ফার্মা : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২২ পয়সা, গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৩ পয়সা।

স্কয়ার ফার্মা: তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫ টাকা ১৫ পয়সা, গত বছর একই সময়ে আয় ছিল ৪ টাকা ৩৬ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৭৯ পয়সা।

ওয়াটা ক্যামিকেলস লিমিটেড : তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৬৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৩ পয়সা।