শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের ৩৩টি কোম্পানির মধ্যে বছরের প্রথমার্ধে বা ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন’২২) মুনাফা বেড়েছে ১৮টি ব্যাংকের। আর মুনাফা কমেছে ১২টি ব্যাংকের। আর মুনাফা অপরিবর্তিত রয়েছে দুই ব্যাংকের। লোকসান রয়েছে একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সুত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, এই ১৮টি ব্যাংকের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৭ শতাংশ থেকে সর্বনিন্ম ১ শতাংশ পযন্ত মুনাফা বেড়েছে। এই ১৮টি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে ফাস্ট সিকিউরিটিজ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, এবি ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, এসবিএসি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, আল আরাফাহ ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক এবং আইসিবি ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড।

এই ১৮টি ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুনাফা বেড়েছে ফাস্ট সিকিউরিটিজ ইসলামি ব্যাংক লিমিটেডের। ব্যাংকটির চলতি বছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ৮৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিলো ৪৯ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ২৮ পয়সা বা ৭৭ শতাংশ।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের চলতি বছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিলো ৯৬ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ৫৪ পয়সা বা ৫৬ শতাংশ।

শাহজালাল ইসলামি ব্যাংকের চলতি বছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিলো ১ টাকা ৬৪ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ৭৫ পয়সা বা ৪৬ শতাংশ।

উত্তরা ব্যাংকের চলতি বছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিলো ১ টাকা ৫৭ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ৭১ পয়সা বা ৪৫ শতাংশ।

এবি ব্যাংকের চলতি বছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ৪২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিলো ৩১ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ১১ পয়সা বা ৩৫ শতাংশ।

এক্সিম ব্যাংকের চলতি বছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিলো ৮৭ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ২৭ পয়সা বা ৩১ শতাংশ।

পূবালী ব্যাংকের চলতি বছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিলো ১ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ৫৬ পয়সা বা ৩১ শতাংশ।

যমুনা ব্যাংকের চলতি বছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ০৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিলো ২ টাকা ৬৪ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ৪০ পয়সা বা ১৫ শতাংশ।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চলতি বছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিলো ১ টাকা ৯৩ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ২৯ পয়সা বা ১৫ শতাংশ।

ঢাকা ব্যাংকের চলতি বছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিলো ১ টাকা ১৩ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ১৭ পয়সা বা ১৫ শতাংশ।

ব্যাংক এশিয়ার চলতি বছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ২ টাকা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিলো ১ টাকা ৭৫ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ২৫ পয়সা বা ১৪ শতাংশ।

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের চলতি বছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৫৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিলো ৩ টাকা ২৫ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ৩৩ পয়সা বা ১০ শতাংশ।

প্রিমিয়ার ব্যাংকের চলতি বছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিলো ১ টাকা ৪৪ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ১০ পয়সা বা ৭ শতাংশ।

এসবিএসি ব্যাংকের চলতি বছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ৩২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিলো ৩১ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ১ পয়সা বা ৩ শতাংশ।

ইসলামী ব্যাংকের চলতি বছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিলো ২ টাকা ০৮ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ০২ পয়সা বা ১ শতাংশ।

আল আরাফাহ ব্যাংকের চলতি বছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিলো ১ টাকা ১৬ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ১ পয়সা বা ১ শতাংশ।

ট্রাস্ট ব্যাংকের চলতি বছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিলো ২ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ২ পয়সা বা ১ শতাংশ।

আইসিবি ইসলামি ব্যাংকের চলতি বছরের প্রথমার্ধে ইপিএস হয়েছে ০২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিলো ৩২ পয়সা। অর্থাৎ ব্যাংকটি লোকসান থেকে মুনাফায় ফিরেছে।