শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেওয়ার পর থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার। ফলে রোব ও সোমবারের পর আজ মঙ্গলবারও পুঁজিবাজারে বড় উত্থান হয়েছে।

তবে টানা তিন কার্যদিবস সূচকের উত্থানের ফলে কিছুটা হলেও আস্থা ফিরছে বিনিয়োগকারীদের। তেমনি বাজারের লেনদেনের উর্ধ্বমুখীতায় স্থিতিশীলতায় আভাস দেখা যাচ্ছে। তাই বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে টানা উত্থানের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষকরা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারদর একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের নিচে নামতে পারবে না, এই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে নিষ্কিয় বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি বড় বিনিয়োগকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও শেয়ার কেনা শুরু করেছে। যে কারণে সুচকের ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি লেনদেনেও উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে।

এদিকে, ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা কস্ট প্রাইসে নির্ধারিত হবে, এমনটা এখন নিশ্চিত। বিএসইসির চেয়ারম্যান গত রোববারও সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আর্থিক খাতের শেয়ার দাম কমলেও এদিন ব্যাংক-বিমা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ারে দাম বেড়েছে। সেই ধাক্কায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৮৫ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২০৬ পয়েন্ট। সূচকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লেনদেন।

ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা। যা চলতি বছরের ১০ মের পর সর্বোচ্চ লেনদেন। ওদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৫৮ কোটি ৫৮ হাজার টাকা। যা প্রায় তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন।

আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৫.২৩ পয়েন্ট বা ১.৩৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৪৯.২৩ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৫.২৭ পয়েন্ট বা ১.১৩ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩০.০১ পয়েন্ট বা ১.৩৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৬২.৩৫ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ২৩৪.২০ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১৮৩ কোটি ২৭ লাখ টাকার। যা আগের কার্যদিবস হতে ২৬১ কোটি ৫৪ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৯২১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ডিএসইতে আজ ৩৮২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৯০টির বা ৭৫.৯২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ৩৬টির বা ৯.৪২ শতাংশের এবং ৫৬টির বা ১৪.৬৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ২০৬.৬৯ পয়েন্ট বা ১.১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩১৯.৩৭ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৯৩টির কমেছে ৪১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টির দর। আজ সিএসইতে ১৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।