শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) চেয়ারম্যান আফিস ইব্রাহিম বলেছেন, পুঁজিবাজারের তারল্য বাড়াতে আগামী বাজেটে ১০ শতাংশ কর পরিশোধের মাধ্যমে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ রাখা উচিত। তবে নৈতিক দিক দিয়ে আমরাও অপ্রদর্শিত অর্থকে বৈধতা দিতে চাই না। এতে প্রকৃত করদাতারা নিরুৎসাহিত হয়।

কিন্ত বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থায় পুঁজিবাজারের উন্নয়নে আমরা কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ চাচ্ছি। এতে বাজারে তারল্য বাড়বে, পাশাপাশি সরকারেরও রাজস্ব বাড়বে। আজ শনিবার প্রস্তাবিত বাজেটের উপর প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবির কথা জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান আফিস ইব্রাহিম।

ডিজিটাল প্লাটফর্মে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিএসই চেয়ারম্যান বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে যেসব সুযোগ সুবিধা রাখা হয়েছে সেগুলো সবই পুঁজিবাজারে বান্ধব। কিন্ত আমাদের পক্ষ থেকে আরও কিছু বিষয় প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল সেগুলো বিবেচনায় নেয়া হলে পুঁজিবাজারের গতিশীলতা বাড়তো।

রাষ্ট্রায়ত্ব লাভজনক কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার প্রচেষ্টা দীর্ঘদিনের। কিন্ত প্রস্তাবিত বাজেটে এসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা রাখা হয়নি। এসব কোম্পানিগুলোকে অতিরিক্ত কর সুবিধার মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত করার প্রস্তাব করা হয়।

সিএসই ইতোমধ্যে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে। এটির অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রচুর বিনিযোগ করতে হবে। এজন্য সিএসই’র বিদ্যমান কর্পোরেট কর ৩০ শতাংশ, যা জুন ২০২৫ পর্যন্ত শূন্য হারে নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয়। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশের উপর চলমান দ্বৈত কর নীতি থেকে সরে আসার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

এখন তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত নগদ লভ্যাংশ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়কর মুক্ত। এই করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ১ লাখ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করার প্রস্তাব করে আসিফ ইব্রাহিম বলেন, মুদ্রাস্ফিতির কারনে করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের এই সীমা বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজন ।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির ক্ষেত্রে করপোরেট করের পার্থক্য প্রস্তাবিত সাড়ে সাত শতাংশের বেশি রাখার প্রস্তাব রাখা হয়। পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি নিয়ে আসতে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার আরও বাড়ানো উচিত । তাহলে বাড়তি করের সুবিধা নিতে অনেক কোম্পানি পুঁজিবাজারের প্রতি আকৃষ্ট হবে জানান আসিফ ইব্রাহিম।

প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সিএসই’র পক্ষ থেকে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলো পুনঃবিবেচনার জন্য মাননীয় অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ দাবি জানান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম।