শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিতে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ বেড়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ২৩টি কোম্পানির মধ্যে মার্চ মাসের তুলনায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ১৭টি কোম্পানিতে। এর মধ্যে ৫ কোম্পানিতে হঠাৎ করে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের হিড়িক পড়েছে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির চিত্র দেখে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে সংশ্লিষ্টদের।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ খুব কম। আবার বাজারে সক্রিয় থাকা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বেশিরভাগের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। অধিকাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ব্যক্তি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মতো ট্রেডারের ভূমিকা পালন করে। বাজার যখন নিম্নমুখী হয় তখন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মতো বিক্রির চাপ বাড়ায়। আবার বাজার যখন ঊর্ধ্বমুখী হয় তখন শেয়ার ক্রয় করে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এমন আচরণের কারণে পুঁজিবাজারে অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি হয়।

তবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ১৭টির, কমেছে ৪টির, এবং তথ্য পাওয়া যায়নি ২টির (বিডি ওয়েল্ডিং এবং লিন্ডে বিডি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

খাতটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়া ৫ কোম্পানি হলো: বারাকা পতেঙ্গা, জিবিবি পাওয়ার, ইন্ট্রাকো সিএনজি, ডরিন পাওয়ার, পাওয়ার গ্রিড। কোম্পানিগুলোর শেয়ার বৃদ্ধির শতাংশ হারের হিসাবে নিচে আলোচনা করা হলো:

বারাকা পতেঙ্গা: মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৫.৪৪ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ০.৯৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৩৭ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৫৬.৪১ শতাংশ থেকে ০.৯৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৫.৪৮ শতাংশে।

জিবিবি পাওয়ার: মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ২০.৭৬ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ০.৮৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১.৬২ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৪৭.২৩ শতাংশ থেকে ০.৮৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬.৩৭ শতাংশে।

ইন্ট্রাকো সিএনজি: মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৭.২৩ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ০.৭১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭.৯৪ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৫২.১১ শতাংশ থেকে ০.৭১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫১.৪০ শতাংশে।

ডরিন পাওয়ার: মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৯.১৭ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ০.৫৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯.৭৬ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ১৪.২২ শতাংশ থেকে ০.৫৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩.৬৩ শতাংশে।

পাওয়ার গ্রিড: মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ১৫.০৮ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ০.৩৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫.৪৭ শতাংশে। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগ ৯.২২ শতাংশ থেকে ০.৩৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮.৮৪ শতাংশে।