শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে লেনদেনের মধ্যস্থতাকারী ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য প্রতিষ্ঠান ব্যাঙ্কো সিকিউরিটিজের ঋণ আদায় করতে আইএফআইসি ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ নিলামে তুলবে। আইএফআইসি ব্যাংক জানায়, ব্যাংকো সিকিউরিজেসের দুটি ফ্ল্যাটের নিলামে অংশ নিতে আগ্রহীদের ৯ মে এর মধ্যে আবেদন জমা দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড।

আইএফআইসি ব্যাংক ব্যাংকো সিকিউরিটিজের কাছে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৮.৩৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। ব্যাংকো সিকিউরিটিজ ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করায় খেলাপি হয়ে পড়েছে। তাই নিয়ম অনুযায়ী ঋণ আদায়ে নিলাম ডেকেছে ব্যাংকটি।

ব্যাংকটি ব্যাংকো সিকিউরিটিজের দুটি ফ্ল্যাট বিক্রি করে ঋণ আদায় করবে। ফ্ল্যাট দুটির মধ্যে একটি পল্টনে, আরেকটি গুলশানে।
এর আগে গত ১৫ জুন থেকে বাংকো সিকিউরিটিজে বিনিয়োগকারীদের ‘সম্মিলিত গ্রাহক অ্যাকাউন্ট’থেকে ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ ১৯ হাজার ১৩৩ টাকা ঘাটতি পাওয়ায় কোম্পানিটির লেনদেন স্থগিত করে দেয় ডিএসই।

বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও করা হয়। এদিকে ডিএসইর অভিযোগের ভিত্তিতে ছয় পরিচালকের বিরুদ্ধে তহবিল আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলার আসামিরা হলেন: আব্দুল মুহিত, শফিউল আজম, ওয়ালিউল হাসান চৌধুরী, নুরুল ইশান সাদাত, এ মুনিম চৌধুরী ও জামিল আহমেদ চৌধুরী। ডিএসই খুব দ্রুতই ব্যাংকো সিকিউরিটিজের ট্রেডিং কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় এবং পরে তার ক্লায়েন্টদের অন্য ব্রোকারেজে স্থানান্তরের সুযোগ করে দেয়।

এছাড়া পরিচালকদের বাংলাদেশ ছাড়ার অনুমতি না দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে সিকিউরিটিজ রেগুলেটর। সিকিউরিটিজ নিয়ন্ত্রকের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ ব্যাংকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আবদুল মুহিতকে গ্রেপ্তার করে। এরপর দুদকের একটি মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। যদিও পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

গত ৪ এপ্রিল সাধারণ বিনিয়োগকারীদের তহবিল আত্মসাতের মামলায় আবদুল মুহিতের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সোমবার বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার ও কাজী মো: ইজারুল হক আকন্দের ডিভিশন বেঞ্চ কেন তার জামিন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আবদুল মুহিতকে তার পাসপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।