শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেডের শেয়ার-মূল্যের বড় উল্লম্ফনকে অস্বাভাবিক মনে করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এছাড়া কোম্পানির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক ব্যক্তির ইনসাইডার ট্রেডিং বা সুবিধাভুগী লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগ পেয়েছে সংস্থাটি। এই অভিযোগ ও শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি।

বিএসইসির ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন (এমআইএস) বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারিসুল হাসান রিফাতকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির আরেকজন সদস্য হলেন সংস্থাটির মার্কেট সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স বিভাগের সহকারী পরিচালক আসমাউল হুসনা। কমিটিকে ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, চলতি বছরের ৪ এপ্রিল আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের শেয়ারদর ছিল ৯৪ টাকা ৯০ পয়সা। এর পর থেকেই কোম্পানিটির শেয়ারদর বাড়তে শুরু করে এবং ৩ অক্টোবর সর্বোচ্চ ৪৬৪ টাকায় দাঁড়ায়। এর পর কোম্পানিটির শেয়ারদর কিছুটা কমে সর্বশেষ সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ৪৩৯ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়।

তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের শেয়ারদর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের মূল্যসংবেদনশীল তথ্য গোপন করে কোম্পানিটির ইনসাইডাররা অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন কিনা সেটি খতিয়ে দেখবে কমিটি।

এক্ষেত্রে কারা কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন করেছেন, দর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা কী এবং কোনো ধরনের সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে কিনা সেগুলোও দেখা হবে। কোন কোন হাউজ থেকে শেয়ারটি বেশি লেনদেন হয়েছে, তদন্ত কমিটি সেটিও খতিয়ে দেখবে। কমিটিকে ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের অনুমোদিত মূলধন ২০ কোটি টাকা। বর্তমানে পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৫২ লাখ ৪৬ হাজার। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে ৩৫.৩২, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২০.৬৯ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৪৩.৯৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।