শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম: আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সম্পূর্ণভাবে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি এমারেল্ড অয়েল লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, দিনে ৩৩০ মেট্রিক টন রাইস ব্রান ইনপুট ক্যাপাসিটি রয়েছে কোম্পানিটির। একই সঙ্গে প্রতিদিন ৪৮ মেট্রিক টন রাইস ব্রান অয়েল আউটপুট ক্যাপাসিটি রয়েছে এ কোম্পানির।

এছাড়া, ২৮২ মেট্রিক টন ডিওআরবি ক্ষমতা রয়েছে বলে কোম্পানিটি জানিয়েছে। এদিকে এমারেল্ড অয়েলের উৎপাদন কার্যক্রম যে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ, তা সবাই ধারনা করে নিয়েছে। কিন্তু এটি কোম্পানির একটি গুরুত্বপূর্ণ মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) এবং তা প্রকাশে বাধ্যবাধকতা থাকলেও কোম্পানির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

যাতে এখনো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে কোম্পানিটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম সক্রিয় বলে তথ্য প্রকাশ করা রয়েছে। তবে সোমবার (১২ জুলাই) কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আগামি ১ সেপ্টেম্বর থেকে উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।

এদিন উৎপাদন শুরুর ঘোষণায় এমারেল্ড অয়েল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামি ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুরোদমে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই উৎপাদন শুরুর পর প্রতি দিন কোম্পানিটির রাইস ব্রানের ইনপুটের ক্ষমতা হবে ৩৩০ মেট্রিক টন।

আর প্রতিদিন রাইস ব্রান অয়েলের আউটপুট ক্ষমতা হবে ৪৮ মেট্রিক টন এবং ডিওআরবির ক্ষমতা হবে ২৮২ মেট্রিক টন। এদিন আরও জানায়, মিনোরি বাংলাদেশের পরিচালক মো. আফজাল হোসেনকে এমারেল্ড অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তবে দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক হিসাব প্রকাশ বন্ধ রাখা এমারেল্ড অয়েল কর্তৃপক্ষ এর আগে উৎপাদন বন্ধ হওয়ার খবর জানায়নি। যাতে করে ডিএসইর ওয়েবসাইটে কোম্পানির বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্ট্যাটাস সক্রিয় দেখানো রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোম্পানির বাণিজ্যিক কার্যক্রম যদি সক্রিয় থাকে, তাহলে আজ শুরুর ঘোষণা দেওয়ার প্রয়োজন কেনো পড়ল?

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, একটি কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ হওয়ার খবর প্রকাশ করলে ওই কোম্পানির পর্ষদসহ ম্যানেজমেন্টের দূর্বলতা প্রকাশ পায়। এছাড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে জবাবহিদিতার আওতায় আসতে হয়। এ কারনে হয়তো মিথ্যার আশ্রয় নেয়। কিন্তু উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর খুবই বড় ধরনের পিএসআই। যা আড়াল করার সুযোগ নেই। তাই যারা আড়াল করে, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা উচিত। এ বিষয়ে জানতে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মতিন পাটোয়ারিকে ফোন দিলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।