শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ২০২০ সালের আর্থিক হিসাবে আপত্তি জানিয়েছেন নিরীক্ষক। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানি কর্তৃপক্ষ প্রিমিয়াম পাওয়া যাবে হিসেবে রিসিভঅ্যাবলবাবদ ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ১১ কোটি ২৪ লাখ টাকার সম্পদ দেখিয়েছে। যার পরিমাণ ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ছিল ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। যা দীর্ঘদিন ধরে সম্পদ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। যা আদায়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এর বিপরীতে সঞ্চিতি গঠন করেছে। এদিকে শ্রম আইন অনুযায়ি অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ ‘ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড’ গঠন করে না বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

জানা যায়, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। রোববার (১৪ মার্চ) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আলোচিত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিকে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির মোট মুনাফা হয়েছে ৫ কোটি ২০ লাখ ২০ হাজার ৮৫৯ টাকা ২০ পয়সা। শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭২ পয়সা। আগের বছর ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ২৬ পয়সা। বর্তমান মুনাফার তুলনায় লভ্যাংশ সন্তোষজন নয় বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। কোম্পানিটি মোট মুনাফা থেকে লভ্যাংশ হিসেবে দেয়া হয়েছে এক কোটি ৫১ লাখ ২২ হাজার ৩৪৩ টাকা বা ২৯.০৬ শতাংশ। কোম্পানিটি নিজের কাছে রেখে দিয়েছে লভ্যাংশের ৩ কোটি ৬৮ লাখ ৯৮ হাজার ৫১৬ টাকা ৯২ পয়সা বা ৭০.৯০ শতাংশ। অবশিষ্ট টাকা কোম্পানি রেখে দিয়েছে।

কোম্পানিটি বোনাস হিসাসে ৫ শতাংশ শেয়ার দিয়েছে। এতে কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা বাড়বে ১৫ লাখ ১২ হাজার২৩৪.৩‬টি এতে মূলধন বাড়বে ১ কোটি ৫১ কোটি ২২ হাজার ৩৪৩ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির মূলধন বেড়ে দাঁড়াবে ৩১ কোটি ৭৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৪৩ টাকা। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৮ টাকা ১১ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২৮ এপ্রিল সকাল সকাল ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।

বীমা খাতের ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ৫০ কোটি টাকা এবং ৩০ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজাভের্র পরিমাণ ২২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এ কোম্পানির ৩ কোটি ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৮৬টি শেয়ারের মধ্যে ৩০.৭২ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ৭.২৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৬২.০০ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।