শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সরকার করোনারভাইরাস ঠেকাতে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করছে-এই সংবাদে রোববার এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। পরের দিন মার্জিন ঋণের সীমা বৃদ্ধির ঘোষণায় দৃশ্যপট পাল্টে গেল পুঁজিবাজারের।

রোববার বিকেলে বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের সীমা বাড়ানো সিদ্ধান্ত নেয়। এর প্রেক্ষিতে সোমবার উভয় পুঁজিবাজারে সূচকে বড় উত্থান হয়েছে। এদিন ব্যাংক, বীমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় সব শেয়ারের দাম বেড়েছে। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৮৮ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ২৫০ পয়েন্ট।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লকডাউনের ভয় ও আতঙ্কে যেখানে রোববার বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি হিড়িক ছিল। সোমবার ব্রোকারেজ হাউজগুলোয় বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি শূন্য ছিল। কিন্তু মার্চেন্ট ব্যাংক, এবং ব্রোকার হাউজগুলোর শেয়ার কেনার পাশাপাশি ফোর্সসেল কমে যাওয়ার ফলে পুঁজিবাজারে চিত্র পাল্টে যায়।

এদিকে, সোমবার লকডাউনের কারণে দেশের পুঁজিবাজারে ২ ঘণ্টা লেনদেন হয়েছে। এদিন প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। বহুজাতিক কোম্পানির পাশাপাশি ব্যাক-বীমা কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় মাত্র ১৫ মিনিটে সূচক বাড়ে ৬৪ পয়েন্ট। এরপর এই সূচক বৃদ্ধির ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে দিনের বাকি সময় লেনদেন হয়।

দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৮৮ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএস৩০-সূচক বেড়েছে ৪৩ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক বেড়েছে ১৬ পয়েন্ট। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৩৬ কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। এদিন লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১টির, কমেছে ১৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৭৬টি কোম্পানির শেয়ারে দাম। এর আগের দিন (৪ এপ্রিল) সাড়ে ৪ ঘণ্টায় লেনদেন হয়েছিল ৫২১কোটি ১৭ লাখ টাকা।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে(সিএসই) সার্বিক সূচক আগের দিনের চেয়ে সোমবার (৫ এপ্রিল) ২৫০ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৯৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ২ লাখ ৩২ হাজার টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২২টির, কমেছে ২৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।