শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের বিতর্কিত কোম্পানি কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য মাত্র আড়াই শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তবে কোম্পানির ঘোষিত ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীদের হতাশ করছে। কোম্পানিটি তালিকাভুক্তির ২ বছরের মাথায় ডিভিডেন্ডের এমন কান্ড থেকে বিনিয়োগকারীরা ক্ষোভ জানিয়েছেন। পাশাপাশি কোম্পানিটি হিসাব খতিয়ে দেখা উচিত।

৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই লভ্যাংশ ঘোষণা করে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। নানা গোজামিলে মুনাফা ফুলিয়ে অতিরঞ্জিত আর্থিক প্রতিবেদন দিয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় কোম্পানিটি। তালিকাভুক্তির প্রথম বছরে অর্থাৎ ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরে ৭ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস দিয়ে এ ক্যাটাগরিতে নাম লেখালেও এবার ভরাডুবি হল কোম্পানিটির।

জানা গেছে, ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৫ পয়সা। আর বিনিয়োগকারীদের কোম্পানিটি দিল প্রতি শেয়ারে ২৫ পয়সা। অর্থাৎ প্রতি শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের দশ পয়সা কম দিয়েছে কোম্পানিটি।

ডিএসই সূত্রে জানা যায়, ৭০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৬৩ কোটি টাকা। কোম্পানিটির ৩০.০৭ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ঘারে চাপিয়েছে ৫৯ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার। ঋণে জর্জরিত কোম্পানিটির স্বল্পমেয়াদী লোন আছে ৪৬ কোটি ৯৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর দীর্ঘমেয়াদী ঋণ রয়েছে ১৯ কোটি ১০ হাজার টাকা। অর্থাৎ ৬৩ কোটি টাকা পরিশোধিত কোম্পানিটির ঋণই রয়েছে ৬৫ কোটি টাকার উপরে।

গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির সর্বশেষ শেয়ার দর ছিল ২১ টাকা ২০ পয়সা। অথচ তালিকাভুক্ত হয়েই লেনদেনের শুরুতে ১০ টাকার শেয়ারটি ৪৪ টাকা ৮০ পয়সায় পর্যন্ত লেনদেন হয়। প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রির পর থেকেই শেয়ারটির দর ধীরে ধীরে পড়তে থাকে।