শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এ দুটি বিষয় মৌলিক প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই শেয়ারবাজারে গ্রাহকদের অর্থের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ডিজিটাল সেবা দিচ্ছে লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ।

এই বিষয়ে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকতা খন্দকার সাফ্ফাত রেজা শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকমকে বলেন, শেয়ার ও শেয়ার লেনদেন বিষয়ক সকল পরিষেবা প্রদান ও পরিচালনায় লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের সমন্বিত ও সুশৃঙ্ক্ষল ব্যবস্থাপনা বর্তমানে ঢাকা, নারায়াণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, বরিশাল ও সিলেটের ১০টি শাখায় সকল গ্রাহকদের জন্য সুপ্রতিষ্ঠিত।

আমাদের বর্তমান সেবাসমূহ মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদের আইব্রোকার (iBroker), ট্রেডএক্সপ্রেস (TradeXpress), ফাইন্যান্সিয়াল পোর্টাল (Financial Portal), কল সেন্টার এবং যেকোনো সময়ে অনলাইনে টাকা জমা ও উত্তোলনের সুবিধা প্রদান করে থাকি।

সাফ্ফাত রেজা বলেন,বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার অনেক আগে থেকেই লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড এসকল অনলাইন ভিত্তিক, ডিজিটালাইজড সমন্বিত পরিষেবা সমূহ প্রতিষ্ঠিত এবং সফলভাবে পরিচালনা করে আসছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা অনুসরণ এবং সমসাময়িক উদ্যোগ গ্রহণ করে দেশের মূল অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ক্রমান্বয়ে মধ্য আয়ের দেশের উন্নীত হবার অভিপ্রায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখাই লিমিটেডের প্রধান লক্ষ্য।

তিনি বলেন, শেয়ার ও শেয়ার লেনদেন বিষয়ক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে এখন আমাদের কোন গ্রাহককেই ব্রোকারজে হাউজে যেতে হবে না। নিরাপদে, ঘরে বসেই সকল প্রকার লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পাদন ও পুঁজিবাজারের সকল তথ্যাদি বিবেচনা ও পরামর্শ আমাদের পরিষেবা থেকে সহজেই পাওয়া সম্ভব।

আমাদের রয়েছে দক্ষ গবেষণা ও বিশ্লেষণকর্মী এবং গ্রাহক ব্যবস্থাপনা। এছাড়াও কল সেন্টারের মাধ্যমে মুহুর্তেই গ্রাহকদের সকল প্রকার প্রয়োজন ও সমস্যার সমাধান করতে আমরা সদা তৎপর। আমাদের এই তাৎক্ষণিক গ্রাহকসেবার কারণেই লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ গত ২৩ বছর ধরে বাংলাদেশের সবচাইতে বৃহৎ এবং বিশ্বস্ত ব্রোকারেজ হাউজ হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর এই সময়ে ব্রোকারেজ হাউজে না এসেই ঘরে বসে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের গ্রাহকেরা লেনদেন করতে পারছেন। বিনিয়োগকারীরা লংকাবাংলার মাধ্যমে কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার, লিন্ডা চ্যাটবড, আইব্রোকার অ্যাপ, ভার্চয়াল অ্যাকাউন্ট এবং ফিনান্সিয়াল পোর্টালের সুবিধা পাচ্ছেন।

কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাহকেরা অনলাইনেই বিও একাউন্ট খোলা, কেনা-বেচার অর্ডার দেয়া, পোর্টফোলিও তথ্য জানা, লেজারের বিস্তারিত তথ্য, আই ব্রোকার ও ডিএসই মোবাইল অ্যাপের পাসওয়ার্ড আপডেট ও পরিবর্তন, ট্রেড এক্সপ্রেস অ্যাপের মাধমে লেনদেন, বিকাশ পেমেন্ট, অর্থ উত্তোলন, নগদ লভ্যাংশ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান, আইপিও আবেদন, টিআইএন, ইমেইল ও মোবাইল নম্বর আপডেট, লিড কল করাসহ মার্জিন ঋণ ও পুঞ্জীভূত সুদের তথ্য জানতে পারবেন গ্রাহকেরা।

তিনি আরো বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন কথোপকথনমূলক চ্যাটবট লিন্ডার মাধ্যমে লংকাবাংলার গ্রাহকেরা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবেন। এটি ব্যবহার করে ফেসবুক, লংকাবাংলার ওয়েবসাইট ও ফিন্যান্সিয়াল পোর্টালের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা তাদের কাঙ্খিত প্রশ্নে উত্তর পেয়ে যাবেন। বিও হিসাব খোলার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যসহ লংকাবাংলার গ্রাহকদের পোর্টফোলিও স্ট্যাটাস, লেজার ব্যালেন্স, ক্রয় সক্ষমতার তথ্য, আইপিওর বর্তমান অবস্থা, নিজের হিসাব সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য লিন্ডা চ্যাটবটের মাধ্যমে জানা যাবে।

আইব্রোকার অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে তার নিজের পোর্টফোলিও, লেজার ব্যালেন্স, আইপিও আবেদন, অর্থ জমা ও উত্তোলনসহ ট্যাক্স সার্টিফিকেট নিজেরা বের করে নিতে পারবেন। ব্রোকারেজ হাউজে এসে যেসব কাজ যায় এ অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই সেসব সুবিধা পাওয়া যাবে।

সাফ্ফাত রেজা আরো বলেন, ভার্চুয়াল হিসাব নম্বর বরাদ্দ করে অর্থ প্রদানকারীদের সনাক্ত করা হয়ে থাকে। এটি গ্রাহকের রেফারেন্স নম্বর হিসেবে কাজ করে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মাধ্যমে লংকাবাংলার সব গ্রাহককে এজন্য একটি ইউনিক হিসাব নম্বর দেয়া হয় যার মাধ্যমে সরাসরি গ্রাহক তার বিও হিসাবের বিপরীতে অর্থ জমা করতে পারবেন। ভার্চুয়াল মাধ্যমে আধা ঘন্টার মধ্যেই বিও হিসাবে অর্থ জমা হয়ে যায়।

লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের সকল শাখার সব কর্মীগণ সর্বদা আমাদের গ্রাহকদের পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সেবা প্রদানে সদা প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে যে কোন গ্রাহক নিশ্চিত থাকতে পারে। এখানে কোন জটিলতার স্থান নেই । আমাদের রয়েছে পর্যাপ্ত নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি কর্মীবাহিনী,যারা সফটওয়্যার পরিচালনার ব্যাপারে অত্যন্ত দক্ষ বলেও তিনি জানান।

তিনি জানান, আমাদের রয়েছে নিজস্ব সার্ভার যেখানে বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সুরক্ষিত থাকে। বিনিয়োগকারীদের হিসাবে যে কোন ধরনের অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হলে আমাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগে যোগাযোগ করলে তাৎক্ষণিকভাবে সব ধরনের অসামঞ্জস্যতা দূরীভূত করা হয় ।লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের রয়েছে নিজস্ব বাজার বিশ্লেষণ কর্মীদল যারা বাজারে সক্রিয় কোম্পানিগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনীয় ও নির্ভরযোগ্য তথ্য সর্বরাহ করেত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ।

তিনি আরো জানান, আমরা গ্রাহকদেরকে লেনদেনের প্রতিটি কর্মদিবসে লেনদেনের শেষে পুরোদিনের সার্বিক চিত্র তুলে ধরি এবং এ কাজ করে থাকে আমাদের রিসার্চ ডিপার্টমেন্ট। এর মাধ্যমে গ্রাহকগণ পূর্বের দিনের লেনদেনের সাথে পরবর্তী দিন বিনিয়োগের ব্যাপারে জেনে বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এ ছাড়া সপ্তাহের প্রান্তে পুরো সপ্তাহের লেনদেনেরও একটা সারসংক্ষেপ প্রতিবেদন আকারে আমরা আমাদের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করে থাকি।

উল্লেখ্য, লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই উন্নত ও সমসাময়িক গ্রাহকসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ক্রমাগত নতুনতর সেবা উপস্থাপন করে আসছে। প্রতিষ্ঠার রজতজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে এসে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড বর্তমানে বাংলাদেশের বৃহৎ ও জনপ্রিয় ব্রোকারেজ হাউজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং জনসাধারণের কাছে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে সমাদৃত।