শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: দ্য ইন্সটিটিউট চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) পেশাগত আচরণ ভঙ্গের দায়ে ৫ অডিটরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। ফার্মগুলো হলো: এ মতিন অ্যান্ড কোং, নুরুল আজিম অ্যান্ড কোং, মোল্লা কাদির ইউসুফ অ্যান্ড কোং, এম এ তালেব অ্যান্ড কোং, এবং এস.এস মিয়াজি অ্যান্ড কোং। গত ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার আইসিএবি’র ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে। আইসিএবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, এ মতিন অ্যান্ড কোং, পেশাগত আচরণবিধি ভঙ্গ করে নিউ হোপ ফিড মিলস বাংলাদেশ লিমিটেডের ৩০ জুন,২০১০ অর্থবছরের নিরীক্ষক হয়েছে। যে কারণে অডিট ফার্মটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক একে আব্দুল মতিন এফসিএ কে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে আইসিএবি। আগামী ৩ মাসের মধ্যে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করা না হলে ৩ বছরের জন্য তার মেম্বারশীপ স্থগিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

নুরুল আজিম অ্যান্ড কোং, অডিটর ফার্মটিকে পেশাগত আচরণবিধি ভঙ্গ করার কারণে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করা না হলে ১ বছরের জন্য তার মেম্বারশীপ স্থগিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

মোল্লা কাদির ইউসুফ অ্যান্ড কোং,. অডিটর ফার্মটি ২০১৩-১৪ এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বৈধ সার্টিফিকেট প্রাকটিস ছাড়া কাজ করে যাচ্ছে যা পেশাগত আচরণবিধির লঙ্ঘন। যে কারণে এমএ কাদির মোল্লাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিএবি। আগামী ৩ মাসের মধ্যে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করা না হলে ২ বছরের জন্য তার মেম্বারশীপ স্থগিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এম এ তালেব অ্যান্ড কোং, অডিটর ফার্মটি ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে তাদের প্রাকটিস সার্টিফিকেট আপডেট করেনি। এছাড়া ২০১৫ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি আইসিএবি’র কাছে বার্ষিক রিটার্ন জমা দেয়নি। যে কারণে ফার্মটির মালিক এম আবু তালেব এফসিএ’র নাম প্রাকটিসরত মেম্বারশীপ তালিকা থেকে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এস.এন. মিয়াজি অ্যান্ড কোং,অডিটর ফার্মটি ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে তাদের প্রাকটিস সার্টিফিকেট আপডেট করেনি। এছাড়া ২০১৫ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি আইসিএবি’র কাছে বার্ষিক রিটার্ন জমা দেয়নি।

এছাড়া ফার্মটির মালিক এস এম নুরুল ইসলাম মিয়াজি এফসিএ স¤প্রতি মারা গেছেন। তাই ফার্মটির মালিক এস এম নুরুল ইসলাম মিয়াজি এফসিএ’র নাম প্রাকটিসরত মেম্বারশীপ তালিকা থেকে বাতিল করা এবং অডিটর ফার্মটির নাম চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টস ফার্মের লিস্ট থেকে বাদ দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।