২০১০ সালের চেয়ে গত ১৫ মাসে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা
শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: টানা দরপতনের বৃত্তে আটকে গেছে দেশের পুঁজিবাজার। সেই সঙ্গে লেনদেন খরা প্রকট হয়ে উঠছে। ফলে পুঁজিবাজারের ভবিষ্যত নিয়ে দু:চিন্তায় পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন কী হচ্ছে পুঁজিবাজারে। বর্তমান পুঁজিবাজার ৯৬ ও ২০২০ সালের দরপতনকে হার মানিয়েছে।
টানা দরপতনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। অন্তবর্তী সরকারের গত ১৫ মাসে যে ভাবে বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারিয়েছে তা ২০১০ সালের ধসকে হার মানিয়েছে। ফলে দিন দিন পুঁজি নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। বর্তমান পুঁজিবাজারের যে অবস্থা চলছে তাতে ৯৬ ও ২০১০ সালের চেয়ে ভয়াবহ অবস্থা বলে অভিযোগ করছেন একাধিক বিনিয়োগকারীরা।
বিনিয়োগকারীরা অভিযোগের সুরে বলেন, বর্তমান পুঁজিবাজারের যে বেহাল অবস্থা তাতে বিনিয়োগের পরিবেশ নেই। দিন যতই যাচ্ছে লোকসানের পাল্লা ততই ভারী হচ্ছে। অথচ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও ডিএসই নিরব আচরন করছেন। বাজার ইস্যুতে মুখ খুলছেন না তারা। অব্যাহত দরপতনের মধ্যে প্রতিনিয়ত পুঁজি হারাচ্ছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। এমন পতনের প্রকৃত কারণ যেন খুঁজে পাচ্ছে না কোনো পক্ষই। ফলে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হারানোর আর্তনাদও থামছে না। বরং দিন যত যাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের রক্তক্ষরণ তত বাড়ছে। ফলে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওপরও ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন যাবত একটি চক্র অস্বাভাবিক সেল প্রেসার দিয়ে পুঁজিবাজারকে অস্থির করে তুলছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সবাই বিষয়টি জানে। কিন্তু কেউ কিছুই করতে পারছে না। ফলে প্রতিদিন বাড়ছে ফোর্স সেল। ফোর্স সেলের চাপে পুঁজিবাজারের এখন বেহাল দশা। রীতিমতো লন্ডভন্ড চলছে পুঁজিবাজারে।
বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান উর রশিদ চৌধুরী বলেন, ২০১০ সালের চেয়ে গত ১৫ মাসে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিনিয়োগকারীরা। বিশেষ করে পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারা ও আর্থিক খাতের ৯ কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারা পথে বসছে।

