শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কাগজ ও প্রকাশনা খাতের কোম্পানি মনোস্পুল বাংলাদেশ পিএলসি গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ২০ শতাংশ স্টক ও নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, বাকী ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। ২০২৪ সালে কোম্পানিটি ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০২৩ সালে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ, ২০২২ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০২১ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল,

২০২০ সালে কোম্পানিটি ৯ শতাংশ নগদ ও ৮ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। তবে গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২৩ সালে কোম্পানিটি সব্বোর্চ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র অনুসারে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৭৬ পয়সা । ২০২৪ সালে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ২ টাকা ৯৮ পয়সা। ২০২৩ সালে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৮ টাকা ২৭ পয়সা। ২০২২ সালে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৫ টাকা ৪৫ পয়সা। ২০২১ সালে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ১ টাকা ২৩ পয়সা। ২০২০ সালে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৫ টাকা ৫৬ পয়সা। মুলত গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২১ সালে কোম্পানিটির মুনাফা ভাটা পড়লেও বাকী বছরগুলোতে ভালো মুনাফা করেছে।

গত বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ২ টাকা ১৯ পয়সা। আগের বছর ক্যাশ ফ্লো ছিল ২০ পয়সা। গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৪৫ টাকা ৫ পয়সা।আগামী ২৯ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ নভেম্বর।

গত বছর বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফেকচারিংয়ের সাথে একীভুতকরণ করা হয়েছে তালিকাভুক্ত নয় পার্ল পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের। ২০২০ সালে ওটিসি মার্কেট থেকে কোম্পানিটি মূল মার্কেটে ফিরেছে।

১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে কাগজ ও মুদ্রণ খাতে তালিকাভুক্ত হয় বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৩৪ কোটি ১০ লাখ টাকা। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৪২ দশমিক ৫০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩ দশমিক ৭৯ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৫৩ দশমিক ৭১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।