bangladesh bankশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই ধারাবাহিকতায় এ খাতে কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে কোন ছাড় দেয়া হবে না বলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে হুশিয়ারি দেয়া হয়। আজ বাংলাদেশে ব্যাংকে জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈঠকে এসব নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।

অন্যদিকে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ড মার্কেটে আসতে ৫ বছরের কর অব্যাহতি চেয়েছে। একই সঙ্গে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীরা কোনো অনিয়ম করলে তাদের শাস্তি পেতে হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে কঠোরভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে কর মওকুফ সুবিধা পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। বন্ড বাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তাদের এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, আগে বন্ড ইস্যু করলে বিনিয়োগকারীরা যে মুনাফা পেতেন, তার জন্য কোনো কর দিতে হতো না। কিন্তু বর্তমান নিয়মে কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ড কিনলে এর আয়ের ওপর নির্ধারিত হারে কর দিতে হবে। কিন্তু বন্ড মার্কেটকে সচল করতে কর মওকুফ সুবিধা দিতে হবে। আগামী ৫ বছর এই সুবিধা দিতে হবে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, বন্ড ক্রেতারা কোনো ইনসেনটিভ বা লাভ না পেলে বন্ড কেনো কিনবে তারা। ফলে কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ড ইস্যু করতে উৎসাহিত বোধ করবে না।

এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০০২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের জিরো কুপন বন্ডে বিনিয়োগে কর সুবিধা দেয়। সে সময় জিরো কুপন বন্ডে বিনিয়োগের ওপর ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়কে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আর ২৫ হাজার টাকার বেশি আয়ের ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তনে বিধান রাখা হয়। বৈঠকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বন্ড মার্কেট উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংক উদ্যোগ নিবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। এদিকে কোনো ধরনের অনিয়ম করলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে কঠোরভাবে হুশিয়ারি করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর কঠোরভাবে জানিয়ে দেন, অনিয়ম করলে শাস্তি পেতে হবে।