p scaleনিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি চাকরিজীবীরা কোন কাঠামোয় আগামী ঈদুল ফিতরের বোনাস পাবেন—এ প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর নেই কারো কাছে। কেউ বলছেন নতুন কাঠামোয়, কেউ বলছেন পুরনো কাঠামোয়। তবে উভয় পক্ষের বক্তব্যই অনুমাননির্ভর। কারণ উৎসব ভাতার পুরনো বিধান আর নতুন বেতন কাঠামোর গেজেট আদেশে বিভেদ দেখা যাচ্ছে ঈদুল ফিতরের উৎসব ভাতা দেওয়া নিয়ে।

উৎসব ভাতার বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী, আগের মাসে চাকরিজীবীদের পাওয়া মূল বেতনের সমান হবে উৎসব ভাতা। এ হিসাবে নতুন কাঠামোয় যেহেতু চাকরিজীবীরা বেতন পাচ্ছেন, তাই নতুন কাঠামো অনুযায়ীই ঈদ বোনাস পাওয়ার কথা তাঁদের। তবে বাদ সাধছে নতুন বেতন কাঠামোর গেজেট। সেখানে বলা আছে, নতুন কাঠামো অনুযায়ী সব ধরনের ভাতা কার্যকর হবে আগামী ১ জুলাই থেকে। কিন্তু  চাকরিজীবীরা বোনাস পাবেন ১৫ জুন, নতুন ভাতা কার্যকর হওয়ার আগেই।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৬ জুলাই ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার কথা। এর অন্তত ১৫-২০ দিন আগেই চাকরিজীবীদের বোনাস দেওয়া হয়। এখন কোন কাঠামোয় বোনাস দেওয়া হবে, এর কোনো নির্দেশনা না থাকায় প্রস্তুতি নিতে পারছেন না মন্ত্রণালয়গুলোর হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তারা। তবে কোনো কোনো অফিস নতুন কাঠামোয় বোনাস দেওয়া হবে ধরে নিয়ে ঈদ বোনাসের হিসাব-নিকাশের কাজ শুরু করেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার এক কর্মকর্তা জানান, এরশাদ সরকারের সময় জারি করা বিধান অনুযায়ী, কোনো চাকরিজীবী তাঁর সর্বশেষ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ উৎসব ভাতা হিসেবে পেয়ে থাকেন। এ হিসাবে চাকরিজীবীদের চলতি মে মাসের মূল বেতনের সমান অর্থ ঈদ বোনাস হিসেবে পাওয়ার কথা।

কিন্তু সমস্যা হলো, নতুন বেতন কাঠামোর গেজেটে বলা হয়েছে, এ কাঠামো অনুযায়ী সব ধরনের বর্ধিত ভাতা কার্যকর করা হবে ১ জুলাই থেকে। এ ক্ষেত্রে জুন মাসে দেওয়া ঈদ বোনাস নতুন কাঠামোতে দিতে গেলে একটা জটিলতা দেখা দিতে পারে। আবার পুরনো কাঠামোতে দিতে গেলেও বিপত্তি ঘটবে।

বেতন কাঠামো বা ভাতাদি বাস্তবায়নের কাজ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট বাস্তবায়ন শাখা। ওই শাখার সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘যেহেতু ৬ জুলাই ঈদ হবে, তাই ঈদের বোনাস অবশ্যই নতুন কাঠামোতেই দেওয়া উচিত। না হলে চাকরিজীবীদের মন ভেঙে যাবে। তবে কোন কাঠামোতে বোনাস দেওয়া হবে, তার কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি।

আশা করছি, মহা হিসাব নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে এ ব্যাপারে একটি প্রস্তাব আসবে। তার ভিত্তিতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’