falu dudokশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজার থেকে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির মালিক মো. মোসাদ্দেক আলী ফালু জড়িত থাকার অভিযোগ অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। একই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগও অনুসন্ধান করবে সংস্থাটি। আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।

এছাড়া রাজস্ব ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুর বিরুদ্ধে আবার অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের বৈঠক থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হযেছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য  বিষয়টি শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এপিএস ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য মোসাদ্দেক আলী ফালু বিভিন্ন ব্যবসার নামে রাজস্ব ফাঁকির মাধ্যমে অবৈধভাবে শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।

এ ছাড়া দুদকের অভিযোগে শেয়ার মার্কেট হতে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এমন অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা এবং পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে তদারককারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে মোসাদ্দেক আলীর বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে অর্জিত সম্পদের অনুসন্ধান করে। এরপর ২০০৭ সালের ৮ জুলাই জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মতিঝিল থানায় মোসাদ্দেক আলী ফালুর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ১৪ কোটি ৯৫ লাখ ৮২ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হলে আদালত তা আমলে নেন। পরে মামলাটি বাতিল চেয়ে ফালুর করা আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট ওই মামলা বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।

২০১২ সালের ২০ মার্চ দুদক এর বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। ওই আবেদনের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ২৭ আগস্ট প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন। রায়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে আপিল বিভাগ মামলা অব্যাহত থাকার নির্দেশ দেন।