dse-cse lagoশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বর্তমান দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলেও পুঁজিবাজার স্থিতিশীল নয়। তাই নতুন বছরে বাজার স্থিতিশীলতার দিকে এগিয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা করছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ হিসেবে তারা বলছেন রাজনীতিক অস্থিরতার সময়ে আইসিবি বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।

সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের কঠোর অবস্থানের কারণে নতুন বছরে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা আরো বেড়েছে। যে কারণে নতুন পুঁজি হাতে অনেক বিনিয়োগকারী স্থিতিশীল বাজারের প্রত্যাশায় অপেক্ষমান। হাতে পুঁজি থাকলেও আবার অনেকে অস্থির পরিস্থিতিতে বিনিয়োগের সাহস পাচ্ছেন না।

এছাড়া পুরনো ব্যথা ভুলে নতুন বছরে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এই বছরটি তাদের জন্য ভালো যাবে এমন প্রত্যাশা ৩২ লাখ বিনিয়োগকারীর। সকলের প্রত্যাশা এই বছরটি হবে তাদের মুনাফার বছর। বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে বিনিয়োগকারীরা জানান, প্রতি বছরই আমরা স্বপ্নে বিভোর থাকি বাজার ভালো হবে এই ভেবে। কিন্তু প্রতি বছরই আমাদের সেই প্রত্যাশা বিবর্ণ স্বপ্নে পরিণত হয়। আশা করি এ বছরটি তেমন যাবে না।

একাধিক বিনিয়োগকারীর সাথে আলাপকালে বলেন, ২০১০ সালের পর থেকে আমরা একটি ভালো পুঁজিবাজারের অপেক্ষায় আছি। কিন্তু দীর্ঘ ছয় বছরে আমাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। সেই জন্য এখন স্বপ্ন দেখতেই ভয় পাই। তার পরও নতুন বছরের স্বপ্ন থাকবে একটি স্থিতিশীল পুঁজিবাজার। আশা করছি এবার আমাদের স্বপ্ন বিফলে যাবে না।

একই প্রসঙ্গে বিনিয়োগকারী মো. আব্দুর রহমান বলেন, ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আমি পুঁজিবাজারের বাইরে ছিলাম। কারণ ২০১০ সালের ধসে পুঁজি হারিয়ে আমার অর্তনৈতিক অবস্থা খুবই নাজুক। তারপর ২০১৫ সালে নতুন কিছু পুঁজি নিয়ে আবার বাজারে ফিরে এসেছি। কিন্তু এবার বাজারে এসেও ভালো কিছু পাইনি।

লাভের বদলে প্রতিদিনই লোকসান গুনতে হচ্ছে। আশা করছি নতুন বছরটি হবে আমাদের লোকসান ঘোচানোর বছর। তাদের মতো একই প্রত্যাশা রয়েছে নারী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। তারা নতুন বছরে নতুন স্বপ্নে জাল বুনছেন। করতে চাচ্ছেন কিছু বাড়তি ইনকাম।

জানতে চাইলে বিনিয়োগকারী ফাতেমা জাহান বলেন, এক সময় শুধমাত্র আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবজারের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে সেকেন্ডারি মার্কেটের সঙ্গে যুক্ত হই। কিন্তু এই মার্কেটে এসে লাভের বদলে লোকসানই বেশি হয়েছে। পড়তে হয়েছে ধসের মুখে। মাজিন ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে এসে সব চেয়ে সর্বনাশ হয়েছে আমার।

এখনো আমাকে ধসের বোঝা বয়ে নিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। তারপর ভালো হচ্ছে না বাজারের অবস্থা। এই অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের অবস্থা আরো করুণ হবে। তাই আশা করব এই বছর যেন পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ায়। সেই জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ থাকবে যেন তারা বাজারের ওপর কড়া নজর রাখেন।