শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: ২০২১ সালে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে উচ্চ প্রিমিয়াম নিয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল পাঁচ কোম্পানি। ইতোমধ্যে কোম্পানি ৫টি ৩০ জুন, ২০২২ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মুনাফা ও ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। কোম্পানিগুলো হলো: বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, ইনডেক্স এগ্রো, মীর আখতার হোসেন, লুব-রেফ (বাংলাদেশ) ও এনার্জিপ্যাক পাওয়ার লিমিটেড।

কোম্পানিগুলোর সবগুলোরই মুনাফা আগের অর্থবছরের তুলনায় কমেছে। সবচেয়ে বেশি কমেছে এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের ও লুব-রেফের। এদিকে, মুনাফা কমলেও মীর আখতার হোসেন, লুব-রেফ ও এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের ডিভিডেন্ড আগের বছরের সমপরিমাণ রয়েছে। তবে কমেছে বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার ও ইনডেক্স এগ্রোর ডিভিডেন্ড।

বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার: কোম্পানিটির শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস ছিল ৩২ টাকা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার পেয়েছে ২৯ টাকায়। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৫ পয়সা। যা আগের বছর ছিল ৩ টাকা ৬০ পয়সা। এবছর কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। যারআগের বছর ছিল সাড়ে ১২ শতাংশ ক্যাশ।

ইনডেক্স এগ্রো: কোম্পানিটির শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস ছিল ৬০ টাকা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পেয়েছে ৫০ টাকায়। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ০৯ পয়সা। যা আগের বছর ছিল ৫ টাকা ৬৩ পয়সা। বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির মুনাফায় বড় পতন না হলেও ডিভিডেন্ডে ধস নেমেছে। এবছর কোম্পানিটি মাত্র ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। যা আগের বছর ছিল ২৫ শতাংশ ক্যাশ।

মীর আখতার হোসেন: কোম্পানিটির শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস ছিল ৬০ টাকা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পেয়েছে ৫৪ টাকায়। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৯৩ পয়সা। যা আগের বছর ছিল ৩ টাকা ৮০ পয়সা। তবে মুনাফা কমলেও এবছর কোম্পানিটি আগের বছরের সমপরিমাণ সাড়ে ১২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

লুব-রেফ (বাংলাদেশ): কোম্পানিটির শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস ছিল ৩০ টাকা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পেয়েছে ২৭ টাকায়। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ১৩ পয়সা। যা আগের বছর ছিল ৩ টাকা ৪১ পয়সা। তবে মুনাফা কমলেও এবছর কোম্পানিটি আগের বছরের সমপরিমাণ ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

এনার্জিপ্যাক পাওয়ার: কোম্পানিটির শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস ছিল ৩৫ টাকা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পেয়েছে ৩১ টাকায়। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে মাত্র ৩৮ পয়সা। যা আগের বছর ছিল ২ টাকা ৩০ পয়সা।

এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির মুনাফায় ধস নেমেছে। তবে মুনাফায় ধস নামলেও ডিভিডেন্ড পরিবর্তন করেনি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। কোম্পানিটি এবছরও আগের বছরের সমপরিমাণ ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।