শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: বন্ধ বিও হিসাব থেকে বেশ কিছু ব্রোকারেজ হাউজ শেয়ার বিক্রি করেছে, এমন তথ্য রয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে। এরমধ্যে বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করেছে এমন দুটি প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মুলত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ হাউস ও বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসিকে শোকজের আওতায় এনেছে বিএসইসি।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ হাউসে রক্ষিত একটি বিও হিসাব থেকে আজ বুধবার ১২ কোটি ৫৭ লাখ টাকার সমমূল্যের তিনটি কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করা হয়। এ তিনটি কোম্পানির শেয়ার আবার সূচকে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। কোম্পানি তিনটি হচ্ছে গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মা ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি বা বিএটিবিসি।

পরে বিএসইসির পক্ষ থেকে শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড বা সিডিবিএলের কাছ থেকে বিও হিসাবটির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সিডিবিএলের পক্ষ থেকে বিএসইসিকে জানানো হয়, বিও হিসাবটি ২০১৮ সালের জুনে বন্ধ হয়ে গেছে। কীভাবে `বন্ধ বিও’ থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করা হলো, তা নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ কারণে ব্র্যাক ইপিএলের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানিয়েছেন, বন্ধ বিও হিসাব থেকে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে। যেসব কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে, সেগুলো শেয়ারবাজারে সূচকের উত্থান-পতনে বড় ভূমিকা রাখে। যে বিও হিসাবটি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে, সেটি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব।

এই বিও হিসাবে রক্ষিত শেয়ারের কাস্টডিয়ান বা হেফাজতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি। কীভাবে বন্ধ বিও থেকে শেয়ার বিক্রি করা হলো, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছ থেকে ব্যাখ্যা ও তথ্যপ্রমাণ চাওয়া হয়েছে। তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।