স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটে অবশেষে পুঁজিবাজারের অস্থিরতা কমাতে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন (আইসিবি) ১ হাজার কোটি টাকা সহায়তা পেয়েছে। তবে সহায়তা পাওয়ার পর গত সোমবার থেকে শেয়ার ক্রয় শুরু করছেন। মুলত গত সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সহায়তা পাওয়ার বিষয়টি আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আইসিবি মোট ১৩ হাজার কোটি টাকার সহায়তা চাইলেও সরকার প্রাথমিকভাবে ১ হাজার কোটি টাকা সফট লোন হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে। ১০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে, যার মধ্যে প্রথম বছর থাকবে গ্রেস পিরিয়ড। এরপর প্রতি ছয় মাসে মূলধন ও ৫ শতাংশ সুদসহ কিস্তি পরিশোধ করতে হবে।

নিরঞ্জন দেবনাথ বলেন, বাজারকে টিকিয়ে রাখতে এবং ঋণ পরিশোধে সক্ষমতা ধরে রাখতে এই তহবিল অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা হবে। বর্তমানে আইসিবির পুরনো পোর্টফোলিওর ব্যাপক ক্ষতির কারণে প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগ কমিটি কেবলমাত্র ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ারে বিনিয়োগের অনুমতি পাচ্ছে। গত অর্থবছরে (২০২৪-২৫) সঠিক হিসাব পদ্ধতি অনুসরণ করায় আইসিবি সমন্বিতভাবে ৪ হাজার ৮৫৬ কোটিরও বেশি ক্ষতি দেখায়।

আইসিবি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ঋণ পাওয়ার পরই নতুন একটি বিও অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে এবং সোমবার দুপুর ২টার পর থেকে কিছু শেয়ার কেনা শুরু হয়েছে। মুলত আগামী তিন মাসের মধ্যে বিনিয়োগের অগ্রগতি সম্পর্কে সরকারকে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেওয়া হবে। এটি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনর্গঠনে সহায়তা করবে বলে তিনি মনে করছেন।

এদিকে সরকারি ঋণটি ৫ শতাংশ সুদে ১০ বছরের মেয়াদে দেওয়া হয়েছে এবং শুধুমাত্র পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্যবহার করা যাবে। এটি বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারে বড় আকারের সরকারি বিনিয়োগ সাধারণত মূল্য বৃদ্ধি এবং স্বাভাবিক চাহিদা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া আইসিবি কোন সেক্টরে আগে বিনিয়োগ শুরু করতে পাওে এ বিষয়েও বাজারে নানা ধরনের ইতিবাচক বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। ব্যাংক, ফার্মা, পাওয়ার ও টেলিকম সেক্টরকে সম্ভাব্য অগ্রাধিকার খাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।