monno-groupফয়সাল মেহেদী: বিগত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের স্বল্পমূলধনী কোম্পানি মুন্নু জুট স্ট্যাফলার্সের শেয়ার দর। একই সঙ্গে কোম্পানির শেয়ারের দর-আয় অনুপাত (প্রাইস আর্নিং রেশিও বা পিই রেশিও) বর্তমানে ৫৮৭ দশমিক ৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। পিই রেশিও বিবেচনায় কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এ কোম্পানিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

একটি শেয়ার তার আয়ের কতগুণ দরে বেচাকেনা হচ্ছে তা মূল্য-আয় অনুপাতে প্রতিফলিত হয়। শেয়ারের বাজার দরকে তার আয় দিয়ে ভাগ করলে মূল্য-আয় অনুপাত পাওয়া যায়। ঝুঁকি নির্ণয়ে দর-আয় অনুপাত সবচেয়ে কার্যকর মাপকাঠি বলেই মনে করা হয়। এ অনুপাত যত বেশি হবে  শেয়ার তত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে। তুলনামূলকভাবে যেসব কোম্পানির পিই  রেশিও ২০ এর নিচে সেগুলোই বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়।

আর পিই রেশিও ২০ ছাড়ালেই তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। আর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই  রেশিও বেঁধে দিয়েছে। সে হিসাবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারী শেয়ারকে বিএসইসি নিরাপদ মনে করে।

monno-jut-1ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সর্বশেষ কার্যদিবসে সোমবার শেয়ারটির দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ বা ২৬ টাকা ৪০ পয়সা। ওইদিন শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৬৩২ টাকা ৭০ পয়সা। এর আগের কার্যদিবসে শেয়ারটির দর ছিল ৬০৬ টাকা ৩০ পয়সা। এদিকে পাঁচ  কার্যদিবস ধরে শেয়ারটির দর টানা বেড়েই চলছে।

পাশাপাশি পিই রেশিও ধারাবাহিকভাবে বেড়ে ৫৮৭ দশমিক ৯১ পয়েন্টে অবস্থান করেছে। আলোচ্য সময়ে শেয়ারটির দর ৫৪৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৬২৭ন টাকা ১০ পয়সায় উঠে এসেছে। যা বিগত দুই বছরের মধ্যে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর। আর দুই বছরের মধ্যে এর সর্বনি¤œ দর ছিল ২৩৩ টাকা ৮০ পয়সা ।

monno-jut-1-yearসর্বশেষ প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর ’১৫) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮০ পয়সা। এ সময়ে কোম্পানিটি মুনাফা করেছে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৮৮ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে।

এদিকে ২০১৪ সালের সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি মুনাফা করেছিল ১০ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিলো ২ টাকা ৫৩ পয়সা। বছর শেষে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ১৯৮২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা এ কোম্পানির অনুমোদিত মুলধন ১ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মুলধন ৪০ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ৪ লাখ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে ৫৬ দশমিক ৮১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৬ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৬ দশমিক ২৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভ ও সারপ্লাস ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সুত্র: দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণ, দেশ প্রতিক্ষণ ডটকম।