abul mal muthitশেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, পুঁজিবাজার ২০১০ সালে যে ধস হয়েছে তা ভুলবার মতো নয়। এমন ভুল যেন বার বার না হয় সেদিকে সরকারসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সজাগ রয়েছে। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সরকার নানা পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে তিনি। দেশের শেয়ারবাজার চাঙ্গা করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে অনেক উদ্যোগ নিয়ে তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে  বলে তিনি মনে করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগকারী এবং সাধারণ জনগণের পুঁজিবাজার সংক্রান্ত শিক্ষা প্রদানের জন্য দেশব্যাপী ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেরি কর্মসূচি পরিচালনা করা হয়েছে। এসব পরিকল্পনা যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়নের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন নিশ্চিত করে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। সোমবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এনবিআর কমার্শিয়াল ব্যাংকের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতটা আমাদের বৃত্তের তুলনায় অনেক বড়। আমাদের জিডিপির আকার খুব বেশি বড় নয়। সেই অবস্থায় অনেকেই বলেন ব্যাংকের সংখ্যা অনেক বেশি। এখানে বিপর্যয় হতে পারে।  আমি মনে করি দেশে ব্যাংকের সংখ্যা অনেক বেশি নয়। তাছাড়া তিরিশের দশকে যে ধস হয়েছিলো এমন ধস হওয়ার আর সম্ভাবনা নেই। সাম্প্রতিক বিশ্বে যে ধস হয়েছে তা অনেক ভালোভাবে মোকাবেলা করা হয়েছে।

মুহিত বলেন, আমরা সরকার গঠনের পর আর্থিক খাতে অনেক বিপর্যয় ঘটে গেছে। প্রথম ঘটলো পুঁজিবাজারে। ২০১০ সালের ওই ধস ভুলবার নয়। এরপর সবচেয়ে বড় ব্যাংক সোনালী ব্যাংকে হলমার্কের জালিয়াতির ঘটনা ঘটলো। এর পর আরও বেশ কিছু জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। আমি এর একটি তালিকা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, পারিনি। আরও একটি ব্যাংকে জালিয়াতি হয়েছে, সেটা হলো বেসিক ব্যাংক। এটা একটি ভাল ব্যাংক ছিলো। কিন্তু এই ব্যাংকটিও একটি সময় জালিয়াতি ও লুটপাটের ব্যাংকে পরিণত হয়।”

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আরও একটি ঘটনা ঘটেছে। হ্যা সেটাও ব্যাংক খাতে। বিশ্বের  মধ্যে এটাই প্রথম। ১৯৪২ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক বিশ্বের সব দেশের ব্যাংক হয়। সেই ব্যাংক থেকে মুদ্রা পাচার হলো। কোন দেশের ? গরিব বাংলাদেশের। দেশে এখন অনেক গরীব লোকই ব্যাংক খাতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। প্রায় ৩৪ শতাংশ লোক ব্যাংক খাতের সঙ্গে যুক্ত। দেশের বেকার সমস্যা সমাধানে সরকার অনেক কাজ করছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশে বেকারের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না

এনআরবিসিব’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ফরাছত আলী বলেন, ২০১৩ সালের ১৮ এপ্রিল ব্যাংকের প্রধান শাখা চালুর মাধ্যমে ব্যাংকটি তার বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। যাত্রার শুরুর পর থেকে গত তিন বছরে সাড়ে পাঁচ হাজার প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়েছে এনআরবিসি। বিনিয়োগ রয়েছে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।