শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: পুঁজিবাজারে টানা চার কার্যদিবসের দর পতনের পর সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের সামান্য উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে সূচকের কিছুটা উত্থান হলেও আতঙ্ক কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। এদিকে টাকার অঙ্কে লেনদেন নেমে গেছে তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। এছাড়া সূচকের সাথে বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে গত চার কার্যদিবস ধরে টানা দরপতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এর মধ্যে শেষ ৩ কার্যদিবসে প্রতিদিন ৭৬ শতাংশের বেশি কোম্পানির দরপতন হয়েছে। এমন পতনে লেনদেন কমে তলানিতে নেমে এসেছে। ফলে কোনো কারণ ছাড়াই টানা পতনের কারণে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণও কমেছে। যার কারণে ১৪০০ কোটি টাকার লেনদেন এখন ৪ শত কোটি টাকার ঘরে চলে আসছে। এর ফলে ডিএসইর লেনদেন নেমে গেছে তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইতে গত ৯ কার্যদিবসে ৪৫৪ পয়েন্ট সূচকের দরপতন হয়েছে। ফলে ১৩ কার্যদিবসের মধ্যে ৯ কার্যদিবস দরপতন হলেও চার কার্যদিবস কিছুটা সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে।

অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী কাজী হোসাইন আলী মতে, ২০১০ সালের বড় ধসের পর আজ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা একটি স্থিতিশীল পুঁজিবাজার ফিরে পায়নি। সম্প্রতি পুঁজিবাজার যে ভাবে উত্থান হয়েছে ঠিক সেই ভাবে পতন হয়েছে। এটা কোন স্থিতিশীল বাজারের লক্ষণ নয়। এছাড়া টানা দরপতনে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম ৩০ শতাংশের বেশি উধাও হয়ে গেছে।

এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের মাঝে আস্থা ফেরাতে সূচকের টানা উত্থানের বিকল্প নেই। এছাড়া সামনে জুন ক্লোজিং হওয়া কোম্পানিগুলো আগামী মাসে লভ্যাংশ ঘোষণা করবে। এটি বাজারকে পুনরুজ্জীবিত করার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। তাই বিনিয়োগকারীদের উচিত ধৈর্য ধরে শেয়ার বিক্রি থেকে বিরত থাকা বলে তিনি মনে করেন।

জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩৪৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৫২ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক .৬৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ৭২ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৫ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৩৩ টির, দর কমেছে ১০১ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬১ টির। ডিএসইতে ৪৬৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৭৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৪৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকার।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ২৫ পয়েন্টে। সিএসইতে ২১০ টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে ৯০ টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯৯ টির এবং ২১টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।