শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের কিছুটা দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে টানা তিন কার্যদিবসে দরপতনে কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে বিনিয়োগকারীদের মাঝে। মুলত পুঁজিবাজারে প্রফিট টেকিংয়ের চাপে সূচকের পতন হয়েছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। কারণ এর আগে একটানা তিন কার্যদিবস সূচকের উত্থানের পর ফের তিন কার্যদিবস দরপতন লেনদেন শেষ হয়েছে। বর্তমান পুঁজিবাজার সূচকের উঠানামার মধ্যে চলছে।

বাজার একটানা বাড়ছে না, তেমনি একটানা দরপতন হচ্ছে না। এটা বাজারের জন্য ভাল দিক তেমনি স্থিতিশীল পুঁজিবাজারের প্রত্যাশায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এছাড়া সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) নেতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শেষ হলেও বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত মিলেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচক কিছুটা কমলেও অধিকাংশ জুন ক্লোজিং শেয়ারের দাম বাড়ছে। গত তিন কার্যদিবস সূচক কমলেও সপ্তাহশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ২৪ পয়েন্ট। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইর উদ্বোধনী সূচক ছিল ৫ হাজার ৩৫০ পয়েন্ট। আজ শেষ কার্যদিবসে সূচক দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৩৭৪ পয়েন্টে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী সপ্তাহের শুরুতে বাজার কিছুটা মিশ্র প্রবণতায় থাকলেও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভাবনা অনেক বেশি। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিকে হতাশার নয়, বরং নতুন বিনিয়োগের প্রস্তুতির সময় হিসেবে দেখা উচিত বলে তারা মনে করেন। কারণ বর্তমান বাজার একটানা সূচকের উত্থান হচ্ছে না। তেমনি একটানা দরপতন হচ্ছে না। এটা বাজারের জন্য ইতিবাচক দিক।

জানা গেছে, সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচক কিছুটা কমলেও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর ও টাকার পরিমানে লেনদেন কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩৭৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৮০ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ৮৯ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৭ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৭ টির, দর কমেছে ২০৮ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭২ টির। ডিএসইতে ৭৬৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৮৭ কোটি ১ লাখ টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯৫৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকার।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ২৪ পয়েন্টে। সিএসইতে ২০২ টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে ৭৬ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১০৫ টির এবং ২১ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৮ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।