শেয়ারবার্তা ২৪ ডটকম, ঢাকা: এখন থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা এবং পরিচালকের ঋণখেলাপির তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) থেকে সরাসরি যাচাই করতে পারবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। সম্প্রতি গভর্নর বরাবর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএসইকে এ সুবিধা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এত দিন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মাধ্যমে ঋণখেলাপির তথ্য যাচাই করত ডিএসই।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আবেদনের পর আইন অনুযায়ী ওই কোম্পানি, উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা কোনো ব্যাংকের ঋণখেলাপি নয় বলে স্টক এক্সচেঞ্জে অঙ্গীকার করে। এরপর বিষয়টি যাচাই করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ডিএসই। এত দিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ঋণখেলাপির তথ্য পেতে বিএসইসির মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হতো। কিন্তু এখন থেকে কোনো মাধ্যম নয়, সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি ডাটা থেকে যাচাই করতে পারবে ডিএসই। এতে ঋণখেলাপি হয়েও কোনো কোম্পানি মিথ্যা তথ্য দিলে দ্রুত তা যাচাই করা যাবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ঋণখেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর গত নভেম্বরে একটি চিঠি দেয় ডিএসই। চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড) রেজ্যুলেশনস, ২০২২ অনুযায়ী অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডের (এটিবি) অধীনে আগ্রহী ডেবট সিকিউরিটিজ তালিকাভুক্তির অনুমোদন করে। এর অনুমোদন দেওয়ার আগে আইনের বিধান অনুযায়ী আগ্রহী কোম্পানি, উদ্যোক্তা বা পরিচালকরা ব্যাংকের ঋণখেলাপি নয়, তা নিশ্চিত করার প্রয়োজন রয়েছে।

এ ছাড়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড) রেজ্যুলেশনস অনুযায়ী কোম্পানির তালিকাভুক্তির আবেদনের সময়, কোম্পানি বা উদ্যোক্তা বা পরিচালকরা ঋণখেলাপি নয় মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা দিতে হয়। পরে ডিএসই তা যাচাই করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের শরণাপন্ন হয়। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনলাইনভিত্তিক সিআইবি পরিষেবা পেতে গভর্নরের অনুমোদনের জন্য আবেদন করে ডিএসই।

একই সঙ্গে ডিএসই নিশ্চিত করে যে, তথ্যগুলো শুধু জাতীয় উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে এবং এর গোপনীয়তা কঠোরভাবে বজায় রাখা হবে। এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ডিএসইকে সরাসরি সিআইবি থেকে ঋণখেলাপির তথ্য পেতে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ সম্পর্কে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরাসরি ঋণখেলাপির তথ্য যাচাই করতে পারবে ডিএসই। এতে তথ্য যাচাইয়ে সময় কম লাগবে। কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্ত হওয়ার অনুমোদন দ্রুত সময়ে হবে। বিশেষ করে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডের অধীনে ডেবট সিকিউরিটিজগুলো কম সময়ে বাজারে আসতে পারবে।’